‘সম্মান পেতে চাইলে টেস্ট ক্রিকেট খেলো’ — ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) প্রাপ্তির মঞ্চে দাঁড়িয়ে এ কথাটাই বললেন বিরাট কোহলি। আইপিএল ফাইনাল জয়ের মুহূর্তেও টেস্ট ক্রিকেটের গুরুত্ব তুলে ধরলেন সাদা পোশাকে বিদায় বলা কোহলি।
লাল বলের ক্রিকেটে নিজেকে নিয়ে গেছেন কিংবদন্তির পর্যায়ে। শেষমেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আর খেলবেন না এই ফরম্যাট। বিরাট কোহলি ১৪ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে খেলেছেন ১২৩টি ম্যাচ, করেছেন ৯২৩০ রান, গড় ছিল ৪৬.৮৫। করেছেন ৩০টি সেঞ্চুরি ও ৩১টি হাফ-সেঞ্চুরি। সংখ্যাগুলো বলছে, অর্জনের খাতায় কমতি নেই কিছুরই।
আইপিএল ফাইনালের পর অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার ম্যাথিউ হেইডেনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেন, ‘এই মুহূর্তটি আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা। কিন্তু তবুও এটি টেস্ট ক্রিকেটের চেয়ে পাঁচ ধাপ নিচে থাকবে। আমি টেস্ট ক্রিকেটকে যেভাবে সম্মান করি এবং ভালোবাসি, তা অমূল্য। আমি তরুণ ক্রিকেটারদের অনুরোধ করব যেন তারা টেস্ট ক্রিকেটকে সম্মানের চোখে দেখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন আপনি টেস্ট ক্রিকেটে পারফর্ম করেন, তখন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে আপনি গেলে মানুষ চোখে চোখ রেখে আপনাকে সম্মান জানাবে, বলবে, ‘ভালো খেলেছেন, সত্যিকারের ক্রিকেট খেলেছেন।’
টেস্ট ক্রিকেট একজন খেলোয়াড়কে আলাদা সম্মান এনে দেয়। ভারতের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ৪০টি ম্যাচে দলকে জয় এনে দেওয়া কোহলি বলেন, ‘যদি আপনি ক্রিকেটবিশ্বে সম্মান অর্জন করতে চান, তাহলে টেস্ট ক্রিকেটকে বেছে নিন। মনপ্রাণ দিয়ে খেলুন। যখন আপনি সেই পথ অতিক্রম করে যাবেন, তখন ক্রিকেটের কিংবদন্তিরা আপনাকে সম্মান জানাবে।’
আর সত্যিই, বিরাট কোহলি সেই সম্মান অর্জন করেছেন। তার নেতৃত্বে ভারত টেস্টে সাফল্যের মাইলফলক ছুঁয়েছে। তিনি প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক যিনি অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ জয় করেন। তাঁর সময়েই ভারতের পেস বোলিং ইউনিট ছিল প্রতিপক্ষের ত্রাস। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অধিনায়কত্ব ছাড়লেও, টেস্ট ক্রিকেটে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে অবদান রেখেছেন।
কিছুদিন আগে টেস্ট ক্রিকেটের পাট চুকিয়ে দিয়েছেন, তবে খেলাটাকে যে এখনও কত সম্মান করেন, ভালোবাসেন, তা তো তাঁর কথাতেই স্পষ্ট। এভাবে খেলাটাকে ভালোবাসতে পারেন বলেই তো বিরাট অনন্য, বিরাট অনবদ্য।