বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া। বলতে পারেন, ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে এই চারজনের মধ্যে মিল কোথায়? সহজ উত্তর, এই চারজনই দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার লুঙ্গি এনগিডির শিকার।
তর্কসাপেক্ষে, প্রথম তিনজন বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার। এদের সাথে হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাট হাতে কি করতে পারেন, তা তো পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেই দেখা গিয়েছে। কোনো বোলার যদি তাদের কোনো একজন কিংবা দুইজনকে আউট করতে পারলেই অনেক বড় পাওয়া মনে করতেন।
কিন্তু একসাথে চার জনকেই যদি তুলে নেন, তাও আবার ইনিংসের আট ওভারের মধ্যেই এতো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মত অবস্থা।গতকালের ম্যাচে ঠিক এভাবেই ভারতকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার লুঙ্গি এনগিডি।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন লুঙ্গি এনগিডির তোপের মুখে পড়ে। আগের ম্যাচে সাইডবেঞ্চে থাকলেও এদিন স্পিনার তাবরাইজ শামসির জায়গায় সুযোগ পান তিনি। সুযোগ পেয়েই আগুন ঝরালেন ডানহাতি এই পেসার।
নিজের প্রথম তিন ওভারেই তুলে নেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, ওপেনার লোকেশ রাহুল ও অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াকে। তার বোলিং আগুনে দগ্ধ হয়ে আর ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। সুরিয়াকুমার যাদবের ব্যাটে ভর করে ১৩৩ রান সংগ্রহ করলেও পাঁচ উইকেটে ম্যাচ হেরে যায়।
ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় এই পেসার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচকে নিজের ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচ হিসেবে আখ্যা দেন। লুঙ্গি এনগিডি বলেন, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের ম্যাচে হেরে গিয়েছিলাম। এইটা আমার জন্য হতাশাজনক।আগের ম্যাচে বাইরে থেকে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেই পারফর্ম করা, আমার জন্য এটাই সেরা দিন। আজকের দিনে এর চেয়ে বেশি কিছু প্রত্যাশা করতে পারতাম না আমি।’
বিরাট কোহলিকে আউটের আগের দুই বলে টানা দুই চারের মার খেয়েছিলেন তিনি। এরপরের বলেই শর্ট বলে আউট করেন ডানহাতি এই ব্যাটারকে। যার পেছনে লুকিয়ে আছে ডানহাতি এই পেসারের ক্রিকেটীয় বুদ্ধিমত্তা। তিনি বলেন, ‘আগের দুই বলেই দুই চার মেরেছিল কোহলি। স্বভাবতই সে আমাকে আক্রমণ করছিল। আমি ভাবলাম তাকে বাউন্সার দিয়ে দেখি, হয় ছক্কা হবে না হলে ক্যাচ। ভাগ্য ভাল, শেষ পর্যন্ত ক্যাচই হয়েছে।’
ব্যাটিংয়ে শুরুর দিকে চাপে পড়লেও প্রোটিয়ারা ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বিপক্ষে চড়াও হয়ে ম্যাচ জিতে নেন। এ নিয়ে লুঙ্গি বলেন, ‘তাদের পেসাররা অসাধারণ বোলিং করেছিল। একমাত্র অশ্বিনকেই আমাদের আক্রমণ করতে হত। উইকেটে থাকা মার্করাম ও মিলার পরিকল্পনা অনুযায়ী দলকে সাহায্য করতে পেরেছে।’
ম্যাচে লুঙ্গি এনগিডি ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নেন। বিধ্বংসী বোলিংয়ের জন্য ম্যাচ সেরা হন তিনি।