এই রান আউট কি করে কেউ মিস করে!

রান আউট হলে ১০ রানেই ফিরতেন কোহলি। টিকে গিয়ে আরও ৩৭ রান যোগ করেন কোহলি। আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ৪৭ রান করেন কিং কোহলি।

২০২৪-এর এপ্রিলে সর্বশেষ টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন। এরপর কানপুরে অনেকদিন বাদে টেস্ট খেলতে নেমেই রোহিত শর্মার হাতে টানা দুটো ছক্কা হজম করলেন। মানসিকতায় গড়মিল হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট ছিল।

প্রথম ওভারে ১৭ রান হজম করার পর খালেদ আদৌ মাথা তুলে দাড়াতে পারেননি। তারই প্রভাব পড়েছে তাঁর ফিল্ডিংয়ে। একের পর এক ব্লান্ডার করেছেন। শিশুতোষ সব ভুলে টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

শুরুটা হয় রান আউট দিয়ে। সেটাও আবার স্বয়ং বিরাট কোহলির রান আউট। ঋষাভ পান্তের ওভাবে সিঙ্গেল নিতে ডাক দেওয়াটাই ঠিক হয়নি। সেই ভুলে সুযোগ নেওয়া উচিৎ ছিল বাংলাদেশের।

সেটা হয়নি, কোহলি নন স্ট্রাইকিং এন্ডে থাকা পার্টনার ঋষাভ পান্তের ডাকে সাড়া দিয়ে মাঝ উইকেট পর্যন্ত চলে গেছেন যখন, তখন বল খালেদের হাতে। খালেদ শুধু বলটা হাতে নিয়ে স্ট্যাম্পে লাগিয়ে দিয়েই কোহলি সাজঘরে ফিরে যেতে পারতেন।

এমনকি আউটের সুযোগটা এতটাই সহজ ছিল যে, কোহলি আর ফেরার চেষ্টাও বাদ দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। কিন্তু, বল আন্ডার আর্ম থ্রো করলেন খালেদ। বল স্ট্যাম্পেই লাগল না। কোহলিও বেঁচে গেলেন, তাঁর হাসিই বলে দিচ্ছিল পুরো পরিস্থিতি। এর পরের সময়টা বাংলাদেশের বোলারদের শাসন করেই ব্যাটিং চালিয়ে গেছেন তিনি।

রান আউট হলে ১০ রানেই ফিরতেন কোহলি। টিকে গিয়ে আরও ৩৭ রান যোগ করেন কোহলি। আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ৪৭ রান করেন কিং কোহলি।

খালেদের ভুলের মিছিল এখানেই শেষ নয়। এর সাত ওভারে বাদেই বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে অতি সাধারণ একটা বল ঠেকাতে ব্যর্থ হন খালেদ। সুইপ থেকে সাকিবের বলে চার আদায় করেন লোকেশ রাহুল। দিনটা আর যাই হোক খালেদ আহমেদের ছিল না।

Share via
Copy link