স্যুইংয়ের সুলতান বলা হয় তাঁকে। শুধুমাত্র পাকিস্তান নয় পুরো বিশ্বজুড়েই ওয়াসিম আকরামের প্রতিভা আর ক্রিকেটবোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলার লোক নেই খুব একটা। এমনিতে পিএসএল সহ বিভিন্ন ঘড়োয়া ও ফ্রাঞ্চাইজি লিগ গুলোতে কোচিং করিয়ে থাকেন ওয়াসিম। অভিজ্ঞতা আছে আইপিএলে কাজ করারও। কিন্তু, কখনো পাকিস্তানের কোচ হবার আলোচনায় আসেনি তাঁর নাম। ওয়াসিম আকরাম জানালেন,গালাগাল খাবার ভয়েই কখনো পাকিস্তান দলের কোচ হতে চাননি তিনি।
অনেক তারকা খেলোয়াড়রাই খেলোয়াড়ি জীবন শেষেই কোচিংকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। আর নিজ দেশের জাতীয় দলের কোচ হওয়া যে কারো জন্য নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গর্বের। উপমহাদেশেও রয়েছে সেই প্রচলন। ভারতের রবি শাস্ত্রি, রাহুল দ্রাবিড়, অনিল কুম্বলে কিংবা পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনুস, জাভেদ মিয়াদাদ কিংবা সাকলাইন মুস্তাকরা পালন করে এসেছেন নিজ দেশের কোচের দায়িত্ব।
কিন্তু জাতীয় দলের কোচিং এর দায়িত্বকে ভয় পান ওয়াসিম আকরাম। জাতীয় দলের কোচদের যেভাবে পান থেকে চুন খসলেই রীতিমতো অসম্মান করা হয় এই বিষয়টির ভয়েই কখনো জাতীয় দলে কোচ হবার কথা মাথায় আনেননি ওয়াসিম।
এক সাক্ষাৎকারে ওয়াসিম বলেন, ‘সমালোচনাকে আমি ভয় পাই না। দল খারাপ করলে আমি সমালোচনা মেনে নেব। কিন্তু পাকিস্তানে কোচ এবং অধিনায়কের যেভাবে সমালোচনা হয় তা অসহনীয়। তারা শুধু অহেতুক সমালোচনারই শিকার হন না, তাদের অসম্মানও করা হয় রীতিমতো। গালাগালও করা হয়।’
১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ী ওয়াসিম দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশকে। পাকিস্তানের অন্যতম সেরা অধিনায়কও মনে করা হয় তাকে। অবসরের পর এনালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন ওয়াসিম। কোচ হিসেবেও কাজ করেছেন একাধিক সময়। আইপিএল, পিএসএলের মত আসরে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। কিন্তু জাতীয় দলের কোচ হবার আলোচনাতেই কখনো ছিলেন না তিনি।
এর কারণ হিসেবে ওয়াসিম বলেন, ‘পাকিস্তান দলের কোচ যে ধরণের গালাগালির শিকার হন সেটা অনেক সময় অসহনীয় হয়ে যায়। আমি এসব নিতে পারতাম না। তারা রীতিমতো ঘৃণার শিকার হন। কিন্তু আমার সহ্যশক্তি অতটা নয়।বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ধরণের গালাগাল করা হয় তা আমি নিতেই পারতাম না। কিছু মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গালাগাল করতে আর নেতিবাচক কথা বলার জন্য বসেই থাকে।’
কোচ না হলেও পাকিস্তানের ক্রিকেটের জন্য কাজ করতে চান ওয়াসিম আকরাম, ‘আমি পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য কাজ করতে চাই। কিন্তু জাতীয় দলের কোচ হিসেবে অযথা গালি শুনতে আমি প্রস্তুত নই। পাকিস্তানের জন্য কাজ করার মানে এই নয় যে আমি কাউকে গালি দেবার সুযোগ দেব।’