ফুটবলের ধুন্ধুমার আসর বসেছে সুদূর কাতারে। তাই বলে যে এই ছোট্ট বাংলাদেশের বুকে সে উন্মাদনা ছড়িয়ে যাবে না তা কেমন করে হয়? এই বাংলার প্রতিটা মানুষ যে তাদের বুকে ফুটবলকে লালন করে। এই দেশের প্রতিটা মানুষ তো বিশ্বকাপ আসলেই বনে যান আর্জেন্টাইন কিংবা ব্রাজিলিয়ান। পাড়ার মোড়ে কিংবা এলাকার বড় মাঠে বড় স্ক্রিনে আয়োজন করা হয় ফুটবলের মহৌৎসব দেখার আয়োজন।
ছেলে-বুড়ে সবাই মিলে মেতে ওঠে ফুটবলের উন্মাদনায়। একসাথে গলা ফাটায় প্রিয় দলের গোলে। আবার বিষন্ন মনে বাড়ি ফেরে ফলাফল নিজেদের পক্ষে না এলে। তবে এবারের বিশ্বকাপে খানিকটা বড় পরিসরেই খেলা দেখানোর আয়োজন করেছিল মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ভেন্যুতে সুবিশাল পর্দায় বিশ্বকাপের সবগুলো ম্যাচই দেখানো হয় নগদের পক্ষ থেকে।
বিশ্বকাপ এখন প্রায় শেষে দিকে। উত্তেজনাও বাড়ছে ক্রমশ। শেষ মুহূর্তের উত্তেজনা! কে হবে চ্যাম্পিয়ন তেমন একটি উৎকণ্ঠাও কাজ করছে ফুটবল পাগল সমর্থকদের মাঝে। ঢাকার অধিকাংশ মানুষ হয়ত কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচগুলো সবাই একসাথে মিলে দেখবার পরিকল্পনা করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অথবা মহসিন হলের মাঠে বসে দেখবার। তবে সে ইচ্ছেটা পূরণ হচ্ছে না।
অনিবার্য কারণ বশত কোয়ার্টার ফাইনালের চারটি ম্যাচ দেখানোর সকল আয়োজন বন্ধ রাখছে নগদ। নগদ-এর হেড অফ পাবলিক কমিউনিকেশন্স জাহিদুল ইসলাম সজল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিমুখে ভুভুজেলা কিংবা প্রিয় দলের পতকা নিয়ে ছুটে যাওয়ার মানুষদের আশাহত হয়েই ফিরতে হতে পারে।
নগদের এই বিশাল আয়োজন বহুবার বিশ্ব মিডিয়ার নজরও কেড়েছে। বাংলাদেশের ফুটবল উন্মাদনার একটা বর্ণিল চিত্র হয়ে উঠেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সে আয়োজন। যদিও কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ দেখানো থেকে বিরত থাকছে নগদ, তবে জাহিদুল ইসলাম সজল জানিয়েছেন সেমিফাইনাল থেকে যথারীতি পূর্ণ উদ্দ্যমে আয়োজিত হবে হাজার খানেক মানুষের একসাথে মিলে বিশ্বকাপ উপভোগের আয়োজন।