পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের জন্য ঘোষিত দল দেখে অনেকেই চমকে গেছেন। নিজেদের মাটিতে টেস্টের জন্য বাংলাদেশ গুনে গুনে ২০ জনের দল ঘোষনা করেছে। বায়ো বাবল মাথায় রেখে হলেও এই দলের আকার সবাইকে একটু বিষ্মিত করেছে।
দল ঘোষনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রধাণ নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু অবশ্য বললেন, নিউজিল্যান্ড সফর ও বায়ো বাবল চিন্তায় রাখলে এরকম দল করার বিকল্প ছিলো না। যেহেতু ৮ তারিখে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা শেষেই ৯ তারিখে বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ড রওনা দেবে, তাই নিউজিল্যান্ড সফর মাথায় রেখেই বড় এই দল ঘোষনা করা হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ খেলবে দুটি টেস্ট। কিন্তু এবার লম্বা সময় কাটাতে হবে সেখানে। প্রথমে গিয়ে কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। এরপর বাংলাদেশ খেলবে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ; দুটি ম্যাচই তিন দিনের করে। এরপর ১ জানুয়ারি থেকেই শুরু প্রথম টেস্ট। আর ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট। লম্বা এই সফরের জন্য লম্বা একটা স্কোয়াড তাই দরকার।
নান্নু দলের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলছিলেন, নিউজিল্যান্ড সফরে যারা যাবে, তাদের বায়ো বাবলে রাখা এবং অনুশীলন করার সুযোগ করে দিতে এই বড় দল। তিনি বলছিলেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট শেষ হওয়ার পর নতুন করে তো অনুশীলনের কোনো সময় নেই। পরদিনই দল উড়াল দেবে। তাই নিউজিল্যান্ডের জন্য আমরা যাদের বিবেচনা করতে পারি, তাদের সবাইকে এখানে রাখতে হয়েছে। যারা মিরপুর টেস্ট খেলবে না, কিন্তু নিউজিল্যান্ড যাবে, তাদের তো অনুশীলন করতে হবে। আর অনুশীলন করতে হলে তো বায়ো বাবলে না থাকলে এই সেটআপের সাথে মিশতে পারবে না। তাই তাদেরকে স্কোয়াডে রাখতে হয়েছে।’
এখানে প্রধান নির্বাচক নান্নু বিশেষ করে পেস বোলারদের কথা বলছিলেন। তিনি জানালেন অন্তত ছয় জন পেসার যাবেন নিউজিল্যান্ডে। ফলে তাদের জন্য এরকম দলে না করে উপায় ছিলো না।
তিনি ব্যাখ্যা করলেন, ‘স্কোয়াড দেখলেই বোঝার কথা যে, এটা কেবল ঢাকা টেস্টের দল নয়। দেশের মাটির কোনো টেস্টে কী আমরা এতো পেসার রাখি? এই প্রশ্নটা নিজেকে করলেই তো বোঝা যায়। এই পেসারদের দলের সাথে না রাখলে ওরা এই কোচদের সাথে প্র্যাকটিস করতো কী করে? বায়ো বাবলের নিয়মও তো মানতে হবে।’