জয়াভিষেক?

বাংলাদেশের ক্রিকেটে জয় আসছেনা অনেকদিন ধরেই। তবে ক্রিকেট পাড়ায় যে নামটা নিয়ে এখন সবচেয়ে বেশি গুঞ্জন তাঁর নাম জয়। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলটার ব্যাটিং লাইন আপের মূল স্তম্ভ ছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। হঠাত করেই পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দলে ডাক পেলেন। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে অভিষেক হবারও জোর গুঞ্জন ছিল। সেটা না হলেও এবার বোধহয় আন্তর্জাতিক দুয়ারে পা দিয়েই রেখেছেন জয়।

বাংলাদেশের ক্রিকেটে জয় আসছেনা অনেকদিন ধরেই। তবে ক্রিকেট পাড়ায় যে নামটা নিয়ে এখন সবচেয়ে বেশি গুঞ্জন তাঁর নাম জয়। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলটার ব্যাটিং লাইন আপের মূল স্তম্ভ ছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। হঠাত করেই পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দলে ডাক পেলেন। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে অভিষেক হবারও জোর গুঞ্জন ছিল। সেটা না হলেও এবার বোধহয় আন্তর্জাতিক দুয়ারে পা দিয়েই রেখেছেন জয়।

চট্টগ্রাম টেস্টের আগে প্রথমদিনের অনুশীলন। সকালবেলা বাংলাদেশ দল অনুশীলন করতে এলে প্রথমেই নেটে ব্যাটিং করতে পাঠানো হয় জয়কে। তাইজুল-মিরাজদের স্পিন খেললেন অনেকক্ষণ। তারপরই আবার থ্রোয়ারের দেয়া দ্রুত গতির সব বল খেললেন। কোচরা তাঁকে নিয়ে একটু বেশিই মনোযোগী। সবমিলিয়ে সেদিন অনুশীলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন জয়।

ফলে সবমিলিয়ে একটা ধারণা পাওয়া যাচ্ছিল প্রথম টেস্টেই ব্যাটিং লাইন আপে দেখা যেতে পারে জয়কে। ম্যাচ শুরুর আগে অধিনায়ক মুমিনুল হককেও এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছিলেন দলের ব্যাক আপ ওপেনার হিসেবেই জয়কে চিন্তা করা হচ্ছে। জয় খেললে ওপেনার হিসেবেই খেলবেন।

এবার দ্বিতীয় টেস্টের আগে টাইফয়েডের কারণে ছিটকে পড়েছেন সাইফ হাসান। ফলে একাদশে ওপেনার হিসেবে কে থাকবেন সেটা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। সাদমানের সাথে তাই জয়ের ওপেন করার সম্ভাবনাটাই সবচেয়ে বেশি।  মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে কে ওপেন করবেন এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল দলের ফিল্ডিং কোচ মিজানুর রহমান বাবুলকে।

বাবুল ওপেনিং পজিশন নিয়ে বলেন, ‘মিরপুর টেস্টে কারা ওপেন করবে জানি না। সাদমান প্রথম পছন্দ। অন্যদের মধ্যে জয় (মাহমুদুল) এসেছে নতুন। জাতীয় লিগে খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। তার হয়তো একটা সুযোগ আসবে। শান্ত শ্রীলঙ্কার পর এখানে খেলছে (জিম্বাবুয়েতেও ছিলেন)। শ্রীলঙ্কাতে খুব ভালো করেছে। হয়তো নতুন বলটা তারাই খেলবে। আশা করি, তারা মিরপুরে নতুন বল খুব ভালোভাবে সামলাতে পারবে। তাদের মধ্যে সেই আগ্রহটা আমি দেখতে পেয়েছি। তারা কষ্ট করছে।’

ফলে মিজানুর রহমানের বাবুলের কথায় ইঙ্গিত পাওয়া যায় দ্বিতীয় টেস্টের ওপেনার হিসবে জয়কেই প্রাধান্য দিচ্ছে বাংলাদেশ দল। যদিও ঘরোয়া কিংবা বয়সভিত্তিক দলে ওপেনার হিসেবে কখনো দেখা যায়নি জয়কে। তিনি মূলত মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। অনূর্ধ্ব ১৯ দলেও ব্যাটিং করেছেন মিডল অর্ডারেই। এছাড়া এবছরের শুরুতে আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে তিন নম্বরে ব্যাটিং করেছেন।

তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জয়ের শুরুটা বোধহয় ওপেনার হিসেবেই হতে যাচ্ছে। অন্তত অনুশীলনের ধরণ, কোচ কিংবা অধিনায়কদের কথাবার্তায় সেটারই আভাষ মিলে। নতুন বলে বাংলাদেশ একটা সলিড শুরু চায় বলেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা যায়। নতুন বলে দ্রুত উইকেট হারিয়ে ফেলায় ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেটা রুখতেই জয়কে ওপেনিং করানোর পরিকল্পনা।

নতুন বলে বাংলাদেশের এই ব্যর্থতা নিয়ে ফিল্ডিং কোচ বাবুল বলেন,‘ব্যাটিং ও বোলিংয়ে যদি নতুন বলটা যদি আরেকটু ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারি (তাহলে খুব ভালো হবে)। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে যদি নতুন বলটা ভালোভাবে খেলতে পারি সময় নিয়ে এবং বোলিংয়েও যদি নতুন বলটা আরেকটু ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারি, তাহলে আশা করি আমরা মিরপুরে খুব ভালো করব।’

ফলে ঢাকা টেস্টের আগে চারদিক থেকে যে আভাষ পাওয়া যাচ্ছে তাতে জয়ের অভিষেক হওয়াটা মোটামুটি নিশ্চিতই। এছাড়া সাইফের ছিটকে পড়ায় সেই সম্ভাবনা আরো জোরদার হয়েছে। যদিও ২০ জনের টেস্ট স্কোয়াডে নাঈম শেখকে রাখা হয়েছে। তাঁকেও ওপেনার হিসেবেই নেয়া হয়েছে। তবে দৌড়ে এখন পর্যন্ত এগিয়ে মাহমুদুল হাসান জয়ই। তবে জয়ের হাত ধরেই জয়ের ধারায় যাত্রা শুরু করুক বাংলাদেশ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...