‘অভিজ্ঞতা’র জোরে টেস্ট দলে

তিনি এখন অবধি মাত্র ছয়টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। তাতে ১৬.৬৩ গড়ে করেছেন মাত্র ১৮৩ রান। হাফ সেঞ্চুরি মোটে একটি। সেটা ৬৫ রানের। এই ইনিংসটা বাদ দিলে বাকি ১০ ইনিংসের গড় মোপেট ১১.৮! প্রথম শ্রেণির ম্যাচ শেষবার খেলেছেন ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সালে। মানে অভিজ্ঞতা খুবই কম। তাহলে কি দেখে হঠাৎ তাঁকে দলে নেওয়া?

চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ছিল চূড়ান্ত ব্যর্থ। সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান কিংবা নাজমুল হোসেন শান্ত – সবাই কমবেশি ভুগেছেন। দ্বিতীয় টেস্টের আগে তাই তড়িঘড়ি করে দলে ঢোকানো হয়েছে টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত মুখ নাঈম শেখকে।

তবে, প্রশ্ন হল টেস্টে নাঈম কতটা কার্য্যকর হবেন? ঘরোয়া ক্রিকেটের বিবেচনায় আশা করার ‍খুব বেশি সুযোগ নেই। তিনি এখন অবধি মাত্র ছয়টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। তাতে ১৬.৬৩ গড়ে করেছেন মাত্র ১৮৩ রান। হাফ সেঞ্চুরি মোটে একটি।

সেটা ৬৫ রানের। এই ইনিংসটা বাদ দিলে বাকি ১০ ইনিংসের গড় মোপেট ১১.৮! প্রথম শ্রেণির ম্যাচ শেষবার খেলেছেন ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সালে। মানে অভিজ্ঞতা খুবই কম। তাহলে কি দেখে হঠাৎ তাঁকে দলে নেওয়া?

জবাবটা দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তিনি জানিয়েছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটের নয় মূলত আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে।

তিনি খেলা ৭১-কে বলেন, ‘আসলে ওর (মোহাম্মদ নাঈম শেখ) ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স মাথায় রাখা হয়নি। ও অনেকদিন ধরে জাতীয় দলে আছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রান পাচ্ছে। ফলে টিম ম্যানেজমেন্টের ওর প্রতি আগ্রহ ছিল। সেজন্যই ওকে দলে রাখা। আর ও আমাদের সিস্টেমের অংশ। এইচপি (হাই পারফরম্যান্স ইউনিট) থেকে উঠে এসেছে। ওর প্রতি আমাদের আস্থা আছে।’

শুধু দলে থাকা নয়, হিসাব-নিকাশ বলছে নাঈমের ঢাকা টেস্টে খেলে ফেলারও ভাল রকমের সম্ভাবনা আছে। হঠাৎ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে মাঠ থেকেই বাইরে থাকতে হচ্ছে চট্টগ্রাম টেস্টে খেলা সাইফ হাসানকে। এর অর্থ হল নতুন একজন ওপেনার দেখা যেতে পারে বাংলাদেশের একাদশে। সেটা হতে পারে মাহমুদুল হাসান জয় কিংবা মোহাম্মদ নাঈম শেখ। যদিও, টেম্পারমেন্ট ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিজ্ঞতার বিচারে এগিয়ে থাকবেন জয়।

প্রথম টেস্টের আগে অধিনায়ক মুমিনুল জানিয়েছিলেন জয়কে তাঁরা ওপেনার হিসেবেই দেখছেন। যদিও বয়সভিত্তিক দলে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলেছেন জয়। তবে দ্বিতীয় টেস্টে সাইফ হাসানের জায়গায় জয়ের অভিষেক হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা।

তবে, একটা বিকল্প ভাবনাও আছে। একাদশে নতুন করে কোনো ওপেনার না নিয়ে সাদমান ইসলামের সাথে ওপেন করতে নামতে পারেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেক্ষেত্রে সাকিব আল হাসানকে একাদশে রাখার জন্য কোনো ব্যাটসম্যানও সরাতে হচ্ছে না।

  • ঢাকা টেস্টের বাংলাদেশ দল

মুমিনুল হক সৌরভ (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি, ইয়াসির আলী রাব্বি, মাহমুদুল হাসান জয়, রেজাউর রহমান রাজা, খালেদ হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...