ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জি নিউজের স্টিং অপারেশন কাণ্ডে রীতিমত বেকায়দায় এখন ভারতের প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা। ভারতের সাবেক এই পেসার গোপন ক্যামেরায় ভারতের ক্রিকেটের হাড়ির খবর প্রকাশ করে দিয়েছেন। আর তাতে করে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
তিনি বোর্ডের প্রধান নির্বাচক হিসেবে এর মধ্যেই পদত্যাগ করে ফেলেছেন। এখন, ভারতীয় ক্রিকেট থেকেও হারিয়ে যান কি না – সেটাই দেখার বিষয়।
চলছে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওমন মহাগুরুত্বপূর্ণ সিরিজও যেন ঢাকা পড়ে গেছে চেতন শর্মার কাণ্ডে। বিসিসিআই সভাপতি থাকাকালীন সৌরভ গাঙ্গুলির সাথে তখনকার অধিনায়ক বিরাট কোহলির শীতল সম্পর্ক কিংবা রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলির ব্যক্তিত্ত্বের দ্বন্দ্ব নিয়ে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য দিয়েছেন চেতন শর্মা।
তবে সবচেয়ে বড় বোমাটি তিনি ফাটিয়েছেন ফিটনেসের জন্য খেলোয়াড়েরা নিষিদ্ধ ইনজেকশন নেন, এমন তথ্য ফাঁস করে। তাই এখন চেতন শর্মার প্রতি খেলোয়াড় ও বিসিসিআই এর সকলের আস্থা কতটুকু থাকে সেটিই দেখার বিষয়। সামনেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট নিয়ে বৈঠকে বসার কথা ছিল নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের। সেই বৈঠকে চেতন শর্মা উপস্থিত থাকবেন কিনা সেটিই এখন বড় আলোচনা।
বিসিসিআইয়ের এক সূত্র বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘চেতন শর্মা যেসব কথাবার্তা গোপন ক্যামেরার সামনে বলেছেন এরপর আর বিশ্বাস বলতে কিছু থাকে না। খেলোয়াড়-নির্বাচক সম্পর্ক, নির্বাচক-সাংবাদিক সম্পর্ক এরপর হুমকির মুখে পড়তে বাধ্য। হয়তো, ভারতের ক্রিকেটও আর ঠাই হবে না তাঁর।’
তবে ফিটনেস ইস্যু বাদে চেতন শর্মা স্টিং অপারেশনের ক্যামেরায় যা যা বলেছেন তা মোটেও নতুন কিছু নয়। এর আগেও ভারতের ক্রিকেট পাড়ায় উঠে এসেছে এসব তথ্য। তবে একজন সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে প্রধান নির্বাচকের মুখে এমন কথা শোনার পর খেলোয়াড়- প্রধান নির্বাচক সম্পর্ক নিশ্চিতভাবেই হুমকির মুখে পড়বে।
এর আগেও চেতন শর্মার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত কথা বলার একটা অভিযোগ ছিল। ভারতের আরেক সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন চেতন শর্মা অস্ট্রেলিয়ায় থাকলেও তাকে কখনোই কোচ বা অধিনায়ক এর সাথে কোনো আলোচনায় দেখা যায়নি।
জি নিউজের এই স্টিং অপারেশন কান্ডের পর রোহিত কোহলিরা তাঁর সাথে আর একই টেবিলে আলোচনায় বসবেন এটিও এখন আপাতপক্ষে মনে হচ্ছে না।