বছরের পর বছর চলতে থাকা নাটকীয়তার অবসান ঘটেছে, দীর্ঘ অপেক্ষা কাটিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পে এসেছেন রিয়াল মাদ্রিদে। এবার আর কোন ফাঁকফোকর নেই; সত্যি সত্যিই আগামী মৌসুমে রিয়ালের হয়ে মাঠে নামবেন তিনি। সেই সাথে স্কোয়াডে যোগ দিবেন উদীয়মান তারকা এন্ড্রিকে; ভিনিসিয়াস জুনিয়র, বেলিংহ্যামরা তো আগ থেকেই আছেন – সবমিলিয়ে আরো একটা গ্যালাকটিকো গড়ে উঠছে।
তবে সেটাই মধুর সমস্যায় ফেলেছে কার্লো আনচেলত্তি আর তাঁর প্যানেলকে। কাকে রেখে কাকে খেলাবেন সেটা ভাবতেই আগামী মৌসুমে ঘাম ঝরাতে হবে তাঁকে। দলের প্রত্যেকেই আসলে শুরুর একাদশে থাকার যোগ্যতা রাখেন, প্রত্যেকেই ম্যাচ বদলে দিতে জানেন।
সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে ৪-৪-২ ছকে দল সাজিয়েছিলেন আনচেলত্তি। কিন্তু ২০২৪/২৫ মৌসুমে সেরকম নাও হতে পারে। কেননা মিডফিল্ডের অন্যতম শক্তিশালী অস্ত্র টনি ক্রুস অবসর নিয়েছেন, আবার এমবাপ্পেকেও ফরোয়ার্ড লাইনে জায়গা করে দিতে হবে। সব বিবেচনায় তাই তিনি ফিরে যেতে পারেন পুরনো ৪-৩-৩ ছকে।
এক্ষেত্রে ডিফেন্স লাইনে বরাবরের মতই থাকবেন দানি কার্ভাহাল, রুডিগার, এডার মিলিটাও আর ফারলান্দ মেন্দি। তাঁদের সামনেই অবস্থান নিবেন অরেলিয়ান শুয়েমেনি, এবং তাঁর দুই পাশে থাকবেন ফেদেরিকো ভালভার্দে এবং বেলিংহ্যাম। এবার দু’জনেই আক্রমণে বেশি গুরুত্ব দিলেও আসন্ন মৌসুমে মাঝ মাঠ সামলানোর দিকেই বেশি মনোযোগ দিতে হতে পারে।
সবশেষে রাইট এবং লেফট উইঙ্গার হিসেবে দুই ব্রাজিলিয়ান রদ্রিগো এবং ভিনি জুনিয়রের কোন বিকল্প নেই। স্ট্রাইকার হিসেবে এমবাপ্পে তো আছেনই। তাছাড়া মদ্রিচ, কামাভিঙ্গা, ব্রাহিম দিয়াজ, এন্ড্রিক কিংবা আর্দা গুলারের মত অপশন বেঞ্চে থাকায় যেকোনো মুহুর্তে পরিকল্পনায় বদল আনা যাবে।
এই যেমন কখনো রদ্রিগোকে সরিয়ে মিডফিল্ডার একজন বাড়ানো যেতে পারে, আবার কখনো মদ্রিচ বা ব্রাহিমকে নাম্বার টেন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। সেক্ষেত্রে একাদশের গঠন হবে ডায়মন্ডের মত।
যদিও ম্যান ম্যানেজম্যান্ট এখন চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। একগাদা তারকাসমৃদ্ধ ড্রেসিংরুমে ভারসাম্য থাকবে কি না সেটি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। আবার তরুণদের মাঝে ইগো বৃদ্ধি পেলেও সমস্যায় পড়তে হবে লস ব্ল্যাঙ্কোসদের। তবে কোচ যখন কার্লো আনচেলত্তি, আর দলের নামটা রিয়াল মাদ্রিদ তখন এসব চিন্তা বাড়াবাড়িই মনে হয়। তার চেয়ে বরং সাফল্যের স্বপ্নে বিভোর হওয়াটা বেশি যৌক্তিক।