প্রশ্ন এখন একটাই, বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের কি হবে, বাতিল হয়ে যাবে নাকি বিকল্প কোন ভেন্যুতে আয়োজিত হবে? দক্ষিণ এশিয়ার দুই শক্তিধর দেশের মাঝে চলমান অস্থিরতা বিরুপ প্রভাব ফেলেছে ক্রিকেট ময়দানে।
পাকিস্তান সুপার লিগের ম্যাচ স্থগিতের পর, পিছিয়ে গেছে টুর্নামেন্টের বাকি থাকা ম্যাচগুলো। এরপর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ মাঝপথে থেমেছে। বিদেশি খেলোয়াড়দের উৎকণ্ঠার কথা মাথায় রেখে আপাতত সপ্তাহখানেকের জন্যে স্থগিত আইপিএল।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে পিএসএল আয়োজিত হতে পারে বলে একটা গুঞ্জন চাওড় হয়েছে। এমন বৈরি পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর অনিশ্চিত। চলতি মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে টি-টোয়েন্টি খেলতে সেদেশে উড়াল দেবে লিটন দাসের দল। এরপরই পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের।
চলমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যকার সিরিজটি বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাই বাস্তবসম্মত মনে হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ। আপাতত অনিশ্চিয়তার কথা জানিয়ে বিকল্প খোঁজার চেষ্টা চলছে বলেই অবহিত করেছেন বোর্ড প্রধান।
২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই দল গোছাচ্ছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে এই সিরিজটি তাই বাংলাদেশের জন্যে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আয়োজক দেশের অস্থিরতায় হয়ত বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ।
তবে পাকিস্তানের সদিচ্ছা এক্ষেত্রে সিরিজটির ভাগ্য বদলের জন্যে সহায়ক হতে পারে। পিএসএল আরব আমিরাতে স্থানান্তরিত হচ্ছে। বাংলাদেশ দলও সেখানে উপস্থিত থাকবে। সহজ ও ঝুকিমুক্ত সমাধান হচ্ছে আরব আমিরাতেই সিরিজটি আয়োজন করা।
কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড হয়ত শেষ অবধি চেষ্টা চালাবে নিজ দেশেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের জন্যে। তবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে বিসিবির অন্তত উচিত আরব আমিরাতে সিরিজটি আয়োজনে জোর দেওয়া। কিন্তু শেষ অবধি এই সিরিজের ভাগ্যে কি রয়েছে- তা হয়ত সময়ই বলে দেবে।