বাংলাদেশের বোলি আক্রমণ একটা সুতার ওপর ঝুলে আছে। আর সেই সুতাটা একাই টান টান করে ঝুলিয়ে রেখেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজুর রহমান না থাকলে সেই সুতা কবেই যেন ছিড়ে যেত।
শ্রীলঙ্কা দল দুবাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে আক্রমণ শুরু করে ১৫ তম ওভার থেকে। দাসুন শানাকার বিপক্ষে কারও কোনো জবাব ছিল না। নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম কিংবা তাসকিন আহমেদ – সবাই দিশা হারাচ্ছিলেন।
এই সময়ে শানাকা হাকান চারটা ছক্কা। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১৭ তম ওভারে তিনি দেন মাত্র ছয় রান। শানাকা শর্ট থার্ডে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন, তখনই তাঁকে ফেরানো গেলে বদলে যেতে পারত শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং ইনিংস।
সেটা না হলেও ১৯ তম ওভারে লঙ্কানদের রানের গতিতে অনেকটাই লাগাম টানতে পারেন মুস্তাফিজ। সেখানে দু’টি উইকেট নেন। রান দেন মাত্র পাঁচটি। শ্রীলঙ্কার ১৮০ রান করার স্বপ্ন সেখানেই থেমে যায়। শেষ ওভারে শানাকার এক চার আর এক ছক্কায় রান সাত উইকেটে ১৬৮ রানে গিয়ে থামে। ডেথ ওভারে মুস্তাফিজ না থাকলে স্কোর দিব্যি শ্রীলঙ্কার ১৯০ কিংবা ২০০-ও হয়ে যেতে পারত।
দিন শেষে চার ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। কুশল পেরেরা, কামিন্দু মেন্ডিস কিংবা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা – তিনটি উইকেটই জরুরী ছিল। ডেথ বোলিংয়ের শেষ কথা এখন মুস্তাফিজুর রহমান। আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও এই ১৯ তম ওভারে এসে তিনি ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। সেদিনও ওই ওভারে নেন দুই উইকেট।
কেবল, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই এশিয়া কাপেই এক ম্যাচে ৩৫ রান হজম করেছিলেন। সেটাই চলতি বছরে মুস্তাফিজের সর্বোচ্চ রান হজম করার নজীর। এর বাদে চলতি বছরে যেকোনো দিন, যেকোনো মাঠে, যে কোনো কন্ডিশনে ডেথ বোলিংয়ে অনন্য ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।
চলতি ২০২৫ সালের ১১ ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমানের ইকোনমি মাত্র ৫.২৩। উইকেট নিয়েছেন ১৭ টি। এর মধ্যে এশিয়া কাপের চার ইনিংসেই সাতটি। এই মুস্তাফিজ না থাকলে কি যে হত বাংলাদেশের!