আফগান ক্রিকেটারকে ওজন কমাতে বলেছিলেন ধোনি

২০১৫ সালের বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করার জন্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিততে হতো আফগানিস্তানকে; হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে যেই দল জিততে হিমশিম খায় তাঁরা জিম্বাবুয়েকে হারাবে এমন স্বপ্ন আফগানরাও দেখার সাহস পায়নি। কিন্তু অধিনায়ক আসগর আফগান ঠিকই স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণও করেছিলেন তিনি।

এরপর আর পিছনে ফিরে দেখতে হয়নি আফগানিস্তানকে, ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্ব মঞ্চে প্রথম জয় পেয়েছিল তাঁরা। সময়ের সাথে এই দল হয়ে উঠেছে আরো শক্তিশালী, ২০২৩ বিশ্বকাপে তো ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে। ইংল্যান্ড, পাকিস্তানের মত বিশ্বকাপজয়ী প্রতিপক্ষকে হারিয়েছে রশিদ খানেরা, ছয় নম্বরে থেকে শেষ করেছে বিশ্বকাপ মিশন।

এর ফলে গা থেকে ‘ছোট দল’ এর ট্যাগ ঝেড়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে আফগানিস্তান। এই ব্যাপারে সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগান বলেন, ‘২০১৫ সালে যখন আমি অধিনায়ক হয়েছিলাম, তখন আমরা পুনর্গঠনের মধ্যে ছিলাম। আজ যেভাবে পারফর্ম করছি, তখন সেভাবে পারফর্ম করিনি; অনেক চাপের মধ্যে ছিলাম। কিন্তু আমরা বিশ্বের সামনে আমাদের উপস্থিতি প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম।’

তিনি আরো যোগ করেন, ‘২০১৫ বিশ্বকাপে আমরা জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে কোয়ালিফাই করি। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন স্কোয়াডে অনেক তারকা এবং ম্যাচ উইনার আছে।’

আফগানিস্তানের এমন উন্নতির পিছনে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) এর অনেক ভূমিকা রয়েছে মনে করিয়ে দিয়ে আসগর বলেন, ‘সত্যি বলতে বিসিসিআই আফগানিস্তানের ক্রিকেট উন্নয়নে বড় ভূমিকা রেখেছে। ২০১৪ থেকে আজ অবধি বিসিসিআই আমাদের সমর্থন করে আসছে; তাঁরা হোম গ্রাউন্ডও দিয়েছে।’

আইপিএলের গুরুত্ব নিয়ে তিনি বলেন, ‘আইপিএলে খেলার পর মুজিব পরিণত বোলার হয়ে উঠেছিল। যখন সে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ভালো পারফর্ম করেছে তখন তাঁকে সরাসরি সিনিয়র দলে নিয়েছিলাম। তারপর আইপিএল খেলে সে সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছিল। সবমিলিয়ে নবী, রশিদ ও মুজিবের ক্যারিয়ারে আইপিএল বড় ভূমিকা রেখেছে।’

ভারতের বিপক্ষে খেলার স্মৃতি নিয়ে এই ডানহাতি ব্যাটার বলেন, ‘২০১৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ড্র করাটা আমার জন্য স্মরণীয় স্মৃতি। শেষ ওভারে ভারতের সাত রান দরকার ছিল, আফগানিস্তানের এক উইকেট। এরপর দুই বলে ভারতের দরকার ছিল ১ রান। তখন আমি নাজিবকে (নাজিবুল্লাহ জাদরান) মিড-অনে রেখে রশিদকে বলেছিলাম লেগ ব্রেক করতে। আমি জানতাম জাদেজা মারার চেষ্টা করবে, ক্যাচ উঠতে পারে আর সেটাই হয়েছে।’

সবশেষে মজার তথ্য জানান সাবেক এই তারকা। তিনি বলেন, ‘ধোনির সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছিলাম, আমরা মোহাম্মদ শাহজাদকে নিয়ে কথা বলেছি। ধোনি বলেছিল, তাঁরা একটি বড় পেট আছে। যদি ২০ কেজি ওজন কমায়, আমি তাঁকে আইপিএলে নিব। কিন্তু পরের সিরিজে সে আরো পাঁচ কেজি ওজন বাড়িয়ে এসেছিল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link