বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর, টেস্টের মত বনেদি সংস্করণের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় তরুণ শুভমান গিলের হাতে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের সিরিজ দিয়েই, শুভমানের অধিনায়কত্বের অভিষেক ঘটে।
অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজেই নিজের ভেলকি দেখান এই তরুণ তুর্কি। বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) ভরসার প্রতিদান দিলেন তিনি। অধিনায়কত্ব পাওয়ার প্রথম সিরিজেই তিনি সিরিজ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।
১০ ইনিংসে ৭৫৪ রান করেন ৭৫.৪০ গড়ে। যার মধ্যে ছিল চারটি সেঞ্চুরি। এর মধ্যে ছিল এজবাস্টনে একটি ডাবল সেঞ্চুরি পান, যেটা ২৬৯ রানে থামে , যা তার ক্যারিয়ারের সেরা টেস্ট ইনিংস।
এই কীর্তির মাধ্যমে তিনি প্রথম উপমহাদেশীয় ব্যাটার হিসেবে সেনা দেশের মাটিতে সিরিজে ৭০০ রানের বেশি করার গৌরব অর্জন করেন। একই সঙ্গে প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে একটি টেস্ট সিরিজে চারটি সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েন।
তিনি অধিনায়ক হিসেবে এক টেস্ট সিরিজে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। খোদ স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের ৮১০ রান নিয়ে আছেন প্রথম স্থানে।
২০১৪ সালে অ্যাডিলেডে মহেন্দ্র ধোনির চোটের কারণে প্রথমবার ভারতের অধিনায়কত্ব করেন বিরাট কোহলি। যদিও সেই সিরিজে মাত্র একটি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছিলেন দিল্লির এই ওয়ান্ডার বয়। অবশ্য এই অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ব্যাট হাতে উজ্জল ছিলেন কোহলি।
এই সিরিজে তিনি ব্যাট হাতে ৮ ইনিংসে ৬৯২ রান করেন। যার মধ্যে ছিল চারটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফ সেঞ্চুরি। তবে পূর্ণাঙ্গ অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান ২০১৫ সালের শ্রীলঙ্কা সফরে। ভারত সেই সিরিজ ১-২ ব্যবধানে জেতে। কোহলি ছয় ইনিংসে করেন ২৩৩ রান। যার মধ্যে ছিল একটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফ সেঞ্চুরি।
রোহিত শর্মা ২০২২ সালে বিরাট কোহলির পদত্যাগের পর অধিনায়কত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজটি ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, ঘরের মাঠে। তবে ব্যাট হাতে তিনি ছিলেন সাদামাটা।
যেখানে কোহলি একজন দীর্ঘ ও সফল অধিনায়ক ছিলেন। রোহিত নিজের পথ তৈরি করে অধিনায়কত্বে এসেছেন। সেখানে গিল মাত্র শুরু করেছেন তাঁর নেতৃত্বের যাত্রা-তবুও ইতোমধ্যেই নিজের নাম রেকর্ডবুকে তুলে নিয়েছেন।
তিনজনের যাত্রা ও নেতৃত্বের ধরণ ভিন্ন হলেও লক্ষ্য ছিল একটাই, আর সেটা হল ভারতের সাফল্য। গিলের নেতৃত্বে ভারত যত বেশি সাফল্য পাবে, ততই অধিনায়ক হিসেবে সফল বনে যাবেন তিনি।