ভেবে দেখুন তো, ১৪ বছর বয়সী একজন কিশোর কি করেন? হয়তো কেউ মাঠে বন্ধুদের সাথে দৌড়ে বেড়ায় সকাল বিকেল, সকালে সদ্য হাই স্কুলের স্বাদ গ্রহণ করে। কিন্তু, ঠিক একই বয়সে একজন ফুটবল বিশ্বে বিরাট এক নাম হতে চলেছে।
১৪ বছর বয়সী ম্যাক্স ডোম্যান ৩১ ডিসেম্বর, ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। প্রখর প্রতিভাবান হওয়ার ফলে ইতোমধ্যেই এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার আর্সেনালের মূল দলের সাথে অনুশীলন করছেন। কে এই কিশোর, আর কেনোই বা তিনি প্রিমিয়ার লিগের একটি শীর্ষ দলের হয়ে এমন সুযোগ পাচ্ছেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
২০২৩/২৪ মৌসুমে ডোম্যান আর্সেনালের অনূর্ধ্ব ১৮ দলের হয়ে সে ধারাবাহিক ভাবে খেলা শুরু করেন। ঠিক তখন থেকেই তিনি মিডিয়ার নজরে আসা শুরু করেন। অনূর্ধ্ব ১৮ প্রিমিয়ার লিগের একটি ম্যাচে ফুলহামের বিপক্ষে তিনি চারটি অ্যাসিস্ট করেন। তার বয়সী একজন খেলোয়াড়ের জন্য এটা অভাবনীয় পারফরম্যান্স। তখন তাঁঁর ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব ১৬ দলের জন্য ডাক পড়ে। তার কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁকে ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব ১৭ দলে জায়গা করে দেওয়া হয়।
ডোম্যানের অসাধারণ বল নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা তাকে বাকিদের চেয়ে আলাদা করেছে। তাঁর উচ্চতা বর্তমানে ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। তবে তাঁর বয়স যেহেতু কম তার শারীরিক আরো অনেক পরিবর্তন আসবে। শীর্ষ পর্যায়ে ফুটবল খেলার জন্য তার শারীরিক সক্ষমতা অবশ্যই দরকার। তবে আমরা আশা করতেই পারি যে বয়সের সাথে সাথে তিনি নিজের উন্নতি অবশ্যই করবেন।
তার খেলার উন্নতির জন্য তাঁর প্রয়োজন সঠিক প্রশিক্ষণ এবং তার দক্ষতার প্রদর্শনে সাহায্য। তার বয়সী একজন খেলোয়াড়ের জন্য কোনো ধরাবাঁধা নিয়মের মধ্যে না রেখে তাকে তার মতো করে বেড়ে উঠতে দেওয়াটাই শ্রেয়।
২০২৪/২৫ মৌসুম হতে পারে ডোম্যানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার মূল দলের হয়ে অভিষেক ঘটলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। যদি এই বছরে তার অভিষেক ঘটে তাহলে তিনি হবেন ১৪ বছর বয়সে প্রিমিয়ার লিগে খেলা প্রথম খেলোয়াড়।
তিনি ঘরোয়া অনূর্ধ্ব ১৮ দলের হয়ে এবং ইউয়েফা ইউথ লিগে অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে অসাধারণ পারফর্ম করছেন। তিনি আটালান্তার বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয় ছিনিয়ে আনেন। এর ফলে তিনি সবথেকে কম বয়সী গোল স্কোরার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
ম্যাক্স ডোম্যানের যাত্রা যে মাত্র শুরু, তা সহজেই বলা যায়। প্রতিভা, পরিশ্রম এবং দৃঢ় মানসিকতা যদি একত্রে কাজ করে, তবে তিনি হতে পারেন ভবিষ্যতের ফুটবল তারকা। যার জন্য অপেক্ষা করছে গোটা বিশ্ব।