ইমার্জিং কাপে সাইফ-রনিদের রাখার যুক্তি কি!

অন্যদিকে, মিস্ট্রি স্পিনার আলিস আল ইসলাম দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়ে দেখিয়েছিলেন কব্জির জাদু। কিন্তু তাঁর জায়গায় এবার সুযোগ দেয়া হলো রেজাউর রহমান রাজাকে। ট্যাকটিক্সের হিসেবে স্পিনারের জায়গায় পেসার খেলানো যেতেই পারে, তবু আবু হায়দার রনির একাদশে থাকাটা কোনভাবেই যৌক্তিক হয় না।

ইমার্জিং এশিয়া কাপ হতে পারতো প্রতিভাবানদের প্রস্ফুটনের মঞ্চ, অথচ বাংলাদেশ হাঁটছে উল্টো পথে। তরুণ সম্ভাবনাময়ীদের বাদ দিয়ে বুড়োদের ধারাবাহিক সুযোগ দিয়ে চলছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। এক্ষেত্রে সবার আগে বলতে হয় সাইফ হাসান আর আবু হায়দার রনির নাম; দু’জনেই জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন তবে পারফর্ম করতে না পারায় বাদ পড়েছেন। কিন্তু চলতি ইমার্জিং কাপে তাঁদের বাদ দেয়ার কথা ভাবাই হচ্ছে না।

টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচে টপ অর্ডারে খেলেছেন সাইফ এবং জিসান আলম; পারফরম্যান্সে বিচারে উভয়কেই ব্যর্থ ট্যাগ দেয়া যায়। কিন্তু মূল্যায়নের ক্ষেত্রে চিত্রটা উল্টো, তরুণ জিসান তৃতীয় ম্যাচে একাদশ থেকে বাদ পড়লেও সাইফকে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে, মিস্ট্রি স্পিনার আলিস আল ইসলাম দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়ে দেখিয়েছিলেন কব্জির জাদু। কিন্তু তাঁর জায়গায় এবার সুযোগ দেয়া হলো রেজাউর রহমান রাজাকে। ট্যাকটিক্সের হিসেবে স্পিনারের জায়গায় পেসার খেলানো যেতেই পারে, তবু আবু হায়দার রনির একাদশে থাকাটা কোনভাবেই যৌক্তিক হয় না।

প্রথমত আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের দায় তাঁর উপরেই পড়ে, এলেমেলো বোলিংয়ে দুই হাতে রান বিলিয়েছেন তিনি। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টপ এন্ড টুর্নামেন্টেও তাঁকে প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে দেখা যায়নি। এতকিছুর পরও এই বাঁ-হাতিকে একাদশের বাইরে রাখা হচ্ছে না, অথচ আরেক তরুণ তুর্কি মারুফ মৃধা সাইড বেঞ্চে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।

বাংলাদেশ দল নিশ্চয়ই ভাল করতে চায়, নিশ্চয়ই ভারত বা অস্ট্রেলিয়ার মত শক্তিশালী পাইপলাইনের অধিকারী হতে চায় কিন্তু সেই চাওয়া পূরণের জন্য যা করা উচিত নয় ঘুরে-ফিরে তাই করা হচ্ছে। উদীয়মানদের অবহেলা করে রহস্যজনক কয়েকটা নামের মাঝে আটকা পড়েছে টিম ম্যানেজম্যান্ট।

কোন এক অদৃশ্য কারণে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। এভাবে চলতে থাকলে ভাল কিছু করা তো দূরে থাক, নূন্যতম সম্মান টিকিয়ে রাখাও কঠিন হবে।

Share via
Copy link