নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন হিসেবে তিনি আগেও খেলেছেন। তবে, টেম্বা বাভুমা এবার করাচির ডাগ আউটেও নেই। অথচ, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। টসে অনুপস্থিত ছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। দলের নেতৃত্বে দাঁড়ালেন এইডেন মার্করাম, আর তখনই জানা গেল চমকপ্রদ খবর—শুধু বাভুমাই নন, টনি ডি জর্জিও নেই দলে!
টিম কম্বিনেশনের জন্যই আবারও বাদ পড়েছেন বাভুমা? তেমনটাই কারণ হওয়া উচিৎ, কারণ একমাত্র যে ম্যাচ খেলেছেন সেখানে তিনি ব্যাট করেছেন মন্থর গতিতে। যদিও, দক্ষিণ আফ্রিকার দাবি ভিন্ন। এইডেন মার্করাম জানাচ্ছেন, প্রোটিয়াদের ড্রেসিংরুমে ছড়িয়ে পড়েছে অসুস্থতার ছায়া। নিয়মিত অধিনায়ক বাভুমা এবং তরুণ ওপেনার ডি জর্জি শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন টিম হোটেলে।
ম্যাচের আগে মার্করাম বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পে অসুস্থতা ছড়িয়ে পড়েছে, তাই টনি আর তেম্বা মাঠে নামতে পারছে না। তবে সেমিফাইনালে উঠলে আশা করি, ওরা ফিরে আসবে।’ তিনি কি সত্যি বলছেন, নাকি সঠিক টিম কম্বিনেশন সাজানোর জন্য ছলনার আশ্রয় নিয়েছেন?
এই কথা সত্যি হলে এটুকু বলা যায় যে, সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ের ঠিক আগমুহূর্তে দলীয় সমন্বয়ে বড় ধাক্কা খেল দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকা এই ম্যাচে দুইটি বাধ্যতামূলক পরিবর্তন এনেছে। নিয়মিত ওপেনার বাভুমার জায়গায় এসেছেন ট্রিস্টান স্টাবস, যিনি টুর্নামেন্টে এখনও কোনো ম্যাচ খেলেননি। তবে তার ব্যাটিং সামর্থ্য প্রশ্নাতীত—শক্ত হাতে স্ট্রোক খেলতে পারা এই ব্যাটসম্যানের ওপর ভরসা রাখছে প্রোটিয়া শিবির। স্টাবস ওপেনিং করবেন রায়ান রিকেলটনের সঙ্গে, যিনি আফগানিস্তানের বিপক্ষে শতক হাঁকিয়ে এই ম্যাচে নামছেন আত্মবিশ্বাসের চূড়ায়।
অন্যদিকে, মিডল অর্ডারে যোগ হয়েছেন হেনরিখ ক্লাসেন। টনি ডি জর্জির জায়গায় সুযোগ পাওয়া এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান শুধু একজন দক্ষ মিডল অর্ডার ব্যাটারই নন, স্পিনের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলার ক্ষমতা রাখেন। তার সংযোজন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং গভীরতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
আত্মবিশ্বাসী ছিলেন মার্করাম। প্রোটিয়াদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক জানান, এমন কন্ডিশনে যে কোনো দলই আগে ব্যাট করতে চাইবে, কিন্তু প্রোটিয়ারা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও রান তাড়া করিনি, এটা ভালো একটা সুযোগ।’