বাংলাদেশ দলের আজ ছিল ঐচ্ছিক অনুশীলন। তবুও অনুশীলনে হাজির মুশফিকুর রহিম। আজ অবশ্য এই ব্যাটারের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে মিরপুরের উইকেট। মাঠে ঢুকেই প্রথমে চলে গেলেন একেবারে বাইশ গজের দিকে। হয়তো দেখতে চাইছিলেন এই উইকেটে নিজের ফর্মটা আবার ফেরানো সম্ভব কিনা।
মাথায় একটা তোয়ালে পেঁচিয়ে একাই হেঁটে যাচ্ছেন বাইশ গজের দিকে। প্রথমের উইকেটটা একবার দেখে নিলেন। এরপর কথা বললেন পিচ কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার সাথে। তবে তাতে যেন মন ভরলো না এই ব্যাটারের। এরপর আবার মিনিট খানেক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বুঝতে চাইলেন উইকেটটা।
এতকিছুর পরেও বুঝি প্রশ্ন থেকে গেল মুশফিকের মনে। আবার গামিনিকে কিছু একটা জিজ্ঞেস করলেন। আর সেটা মুশফিককে বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন এই পিচ কিউরেটর। প্রায় মিনিট দুয়েকের আলাপ শেষে আবার ড্রেসিং রুমের দিকে ফিরে গেলেন এই ব্যাটার।
হয়তো নিজের ব্যাটিং ফর্মের কারণেই উইকেট নিয়ে এতটা সতর্ক তিনি। ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ সাজানো হয় তাঁকে কেন্দ্র করেই। তবে গত বছর এই ফরম্যাটে তাঁর সময়টা ভালো কাটেনি। ২০২১ সালে প্রায় ৬০ গড়ে ব্যাটিং করা মুশফিক ২০২২ সালে ব্যাটিং করেছেন মাত্র ২৩ গড়ে। গতবছর তাঁর ব্যাট থেকে আসেনি কোন সেঞ্চুরি, হাফ সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন মাত্র দুইবার।
ফলে এইবছরটা তাঁর জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপটাও খেলবেন এবছরই। তাও আবার খেলা হবে উপমহাদেশেই। ফলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ থেকেই আবার নিজের চেনা রূপে ফিরে যেতে চাইবেন এই ব্যাটার। সেজন্য ম্যাচের আগেরদিক উইকেটের দিকে মুশফিকের এমন গভীর মনোযোগ।
উইকেট দেখেছেন সাকিব আল হাসানও। মুশফিক চলে যাওয়ার খানিকক্ষণ বাদেই মাঠে প্রবেশ করেন সাকিব। তিনিও উইকেট দেখে গামিনির সাথে কথা বলেন। উইকেটের কোন একটা ভুলও ধরিয়ে দেন সাকিব। এরপরই ইনডোরের দিকে চলে যাচ্ছিলেন এই অলরাউন্ডার।
তখনই পিছন থেকে সাকিবকে ডাক দিলেন হেড কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে। সাকিব দাঁড়াতেই ছুটে গেলেন হাতুরু। এরপর দলের সেরা ক্রিকেটারের সাথে আলাপ চললো হাতুরুর। কথা বলতে বলতেই দুজনে চলে গেলেন ইনডোরের দিকে। নিশ্চয়ই হাঁটতে হাঁটতে ইংল্যান্ড বধের পরিকল্পনাই করছিলেন দুজনে মিলে। শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে হারাতে হলে সাকিবকে তো বাংলাদেশের চাই ই চাই।
ওদিকে প্রথম দিনের অনুশীলনে শুধু ব্যাটিংটাই করেছিলেন সাকিব। তবে আজ বলও হাতে তুলে নিয়েছিলেন। ইনডোরে অনেকটা সময় ভিন্ন ভিন্ন নেটে বোলিং অনুশীলন করলেন। এছাড়া আজ অনুশীলনে এসেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাইজুল ইসলামও।
মিরপুরে একজন বাড়তি স্পিনারও খেলাতে পারে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে সাকিব, মিরাজের সাথে একাদশে যুক্ত হতে পারেন তাইজুলও। অন্তত আজকের অনুশীলনের চিত্র সেই আভাসই দিচ্ছে। এছাড়া তাইজুল ইসলামকে আজ নেটে ব্যাটিংও করিয়েছেন হাতুরুসিংহে।
ফলে বাংলাদেশ একাদশ সাঁজাতে পারে দুই পেসার ও তিন স্পিনার দিয়ে। সেক্ষেত্রে পেস বোলিং আক্রমণের দায়িত্বে থাকবেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। ওদিকে সাকিব, মিরাজ থাকায় বাংলাদেশের একাদশে থাকছে আট ব্যাটার।