বাংলাদেশের ব্যাটারদের ভয় পাবে সবাই। এমন পরিকল্পনার ছক নিয়ে বাংলাদেশে আসছেন পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান রস উড। বাংলাদেশি ব্যাটারদের সম্ভাবনা রয়েছে, আছে প্রতিভাও। তাদের স্রেফ কাটাতে হবে মনস্তাত্ত্বিক জড়তা।
বেশ ঢাক-ঢোল পিটিয়ে তিন সপ্তাহের জন্যে নিযুক্ত দেওয়া হয়েছে পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডকে। স্বল্প মেয়াদে বাংলাদেশের ব্যাটারদের হিটিং দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব কি-না, এমন প্রশ্ন উঠেছে বটে। ঠিক সে কারণেই উড নিজের কর্ম পরিকল্পনা ঠিকঠাক সাজিয়ে আসতে চলেছেন বাংলাদেশে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে উডের। সে কারণেই তিনি জানেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের বিশেষ করে ব্যাটারদের সক্ষমতা ঠিক কতটুকু। টাইগার ব্যাটারদের পেশিশক্তি ক্যারিবিয়ানদের মত নয়- এই বাস্তবতাও জানেন ইংরেজ এই কোচ।
তাইতো বাংলাদেশের ব্যাটারদের টাইমিং নির্ভরতা মাথায় রেখে তিনি প্রশিক্ষণ দেবেন। এছাড়াও ব্যাটারদের শট খেলার সময় শরীরের নড়াচড়ার ধারাবাহিকতার দিকে মনোযোগ দেবেন। অর্থাৎ ব্যাটে-বলে সংযোগের সময় শরীরের সমন্বয় ঘটানোর দীক্ষাই দেবেন জুলিয়ান উড।
এছাড়াও তিনি ব্যাটারদের স্ট্রাইকরেট বাড়ানোর বিষয়েও বিশেষ নজর দেবেন বলে জানিয়েছেন। স্ট্রাইকরেট বাড়লে রানের চাপ কমবে ব্যাটারদের। তারা অযথা বিচলিত হবে না। ফিল্ড পজিশনের ফাঁক-ফোঁকর গলে কিভাবে বাউন্ডারি আদায় করা যায় সেই প্রশিক্ষণও দেবেন জুলিয়ান উড।
তাছাড়া বিভিন্ন টেকনিকের অনুশীলনেও জোর দেবেন জুলিয়ান উড। তাতে করে খেলোয়াড়দের শরীরে চাপ পড়বে, তারা নিজে থেকেই নিজেদের ভুল সনাক্ত করে শুধরে নিতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যাটারদের সদিচ্ছা প্রয়োজন হবে।
তিন সপ্তাহে ঠিক কি কি করবেন, সেসব পরিকল্পনা ইতোমধ্যে স্থির করে ফেলেছেন তিনি। পাঁচ আগস্ট পর্যন্ত তিনি শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করবেন। সেখানকার নারী দল ও পুরুষ দলকে পাওয়ার হিটিংয়ের বিশেষ কর্মশালা করিয়ে, রওনা হবে ঢাকার উদ্দেশ্যে। ছয় আগস্ট থেকে শুরু হবে বাংলাদেশের ক্যাম্প, লক্ষ্য এশিয়া কাপ।