ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে আকাঙ্খিত লড়াই এল ক্লাসিকো। স্প্যানিশ সুপার কাপের মঞ্চটি বছরের শুরুতেই আরো একবার মুখো দাড় করাচ্ছে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা আর রিয়াল মাদ্রিদকে। টুর্নামেন্টটির প্রথম সেমিফাইনালে রিয়ালের জয়ের পর দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে এমন স্বপ্ন উঁকি দেয়। অবশেষে সে স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। বৃহস্পতিবার রাতে টুর্নামেন্টটির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রিয়াল বেতিসকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। আগের রাতে টাইব্রেকারে ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে রিয়াল মাদ্রিদ।
ফাইনালের আগেই উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন দুই দলের দুই হেভিওয়েট কোচ জাভি হার্নান্দেজ আর কার্লো আনচেলত্তি। মাঠের লড়াই ছাপিয়ে এই লড়াইটা তাঁদের নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণেরও বটে।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ সহ সব টুর্নামেন্টের ফাইনালে দুর্দান্ত রেকর্ড রিয়ালের। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে রিয়ালের এমন ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জাভি বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদকে আমি সবসময় যেভাবে দেখে এসেছি সেভাবেই দেখছি। অবশ্যই তারা অনেক কঠিন প্রতিপক্ষ এবং ফাইনালে তাদের রেকর্ডও দারুণ। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, রেকর্ড গড়াই হয় ভাঙার জন্য।
২০১০ সালের পর কোনো ফাইনাল হারেননি আনচেলত্তি। রিয়াল মাদ্রিদকে একের পর এক শিরোপা জেতানো আনচেলত্তি খুবই আত্মবিশ্বাসী তাঁর শিষ্যদের নিয়ে। তিনি বলেন, ‘প্রতিটা শিরোপাই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রতিদিনই লড়ছি ম্যাচ এবং শিরোপা জেতার জন্য। আমরা এ ধরণের ম্যাচের চাপ নিতে অভ্যস্ত তাই আমরা আত্মবিশ্বাসী।’
রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচ বলেই অন্যরকম রোমাঞ্চ অনুভব করছেন বার্সা কোচ জাভি, ‘আপনি ফুটবল খেলেন রিয়ালের বিপক্ষে ফাইনাল খেলার জন্য। এটি আমাদের জন্য দারুণ সুযোগ। জয় নিয়ে আমাদের আপোষ করার সু্যোগ নেই। আমরা নিজেদের জন্য এই শিরোপা জিততে চাই।’
এখন পর্যন্ত এল ক্লাসিকোয় ২৫০ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। যেখানে রিয়ালের ১০১ জয়ের বিপরীতে বার্সার জয় ৯৭ ম্যাচে। বাকি ৫২ ম্যাচ অমীমাংসিত থাকায় ড্র হয়।
এদিকে স্প্যানিশ সুপার কাপেও ১৫ বার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। যেখানে তাদের দেখায় ৯ ম্যাচ জিতে এগিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। আর বার্সার ৪ জয়ের বিপরীতে ড্র হয় ২ ম্যাচ।
আগের মতো এল ক্লাসিকোর সেই উত্তেজনা না থাকলেও রিয়াল-বার্সা ম্যাচ মানেই ফুটবলের অন্যতম শৈল্পিক প্রদর্শনী। এশিয়ার মাটিতে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই তাই মরুর বুকে আবারো ফুটবলের বারুদ জ্বালাচ্ছে।