বিশ্ব জয়ের নেশায় উন্মত্ত বিশ্বজয়ীরা

শুধু ভাবার জন্য ভাবা নয়, বরং সত্যি সত্যি যারা নিজেদের চ্যাম্পিয়ন ভাবেন তাঁরা সবসময়ই অনন্য। কথাবার্তা কিংবা শরীরী ভাষায় তাঁদের সহজেই আলাদা করা যায়; দলের বাকিদের মানসিকতাতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনার সামর্থ্য রয়েছে তাঁদের। আর এমন চ্যাম্পিয়ন মেন্টালিটির এক ঝাঁক তরুণ রয়েছেন বাংলাদেশ দলে, যারা চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হয়ে উঠেছেন অদম্য।

এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে ফেলেছেন কাদের নিয়ে কথা হচ্ছে। হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন, ২০২০ যুব বিশ্বকাপজয়ীদের নিয়েই এত এত আলোচনা। যেভাবে এক জোট হয়ে পারফরম করছেন তাঁরা সেটিই অনন্য।

এক্ষেত্রে প্রথমেই বলতে হয় তাওহীদ হৃদয়ের কথা, বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের সবচেয়ে বড় ভরসা বললে মোটেই বাড়াবাড়ি হবে না। যেই উইকেটে রান করতে পারেননি বাঘা বাঘা ব্যাটাররাও, সেখানে তিনি খেলেছেন দুই দুইটি অনবদ্য ইনিংস। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তো জয়ের গুরুত্বপূর্ণ কারণ ভাবা হয় তাঁকে, দক্ষিণ আফ্রিকাও প্রায় হেরে গিয়েছিল তাঁর ব্যাটিংয়ের কাছে।

অন্যদিকে তানজিম হাসান সাকিব ছুটছেন বল হাতে; দুর্ধর্ষ সব স্পেলে কাঁপিয়ে দিচ্ছেন প্রতিপক্ষকে। প্রোটিয়া টপ অর্ডারকে তো একাই ধসিয়ে দিয়েছিলেন তিনি; তাঁর সেই স্পেল টুর্নামেন্টেরই অন্যতম সেরা পারফরম্যান্সের দৃষ্টান্ত। এছাড়া বাকি দুই ম্যাচেও প্রয়োজনের সময় ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন।

তানজিদ তামিম অবশ্য প্রথম দুই ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছিলেন। তবে কাগিসো রাবাদাকে দুই চার হাঁকানো যে ফ্লুক ছিল না সেটা নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ঠিকই প্রমাণ করেছেন তিনি। একটা পর্যায়ে আট বলে শূন্য রান ছিল তাঁর নামের পাশে, এরপর আউট হয়েছেন ২৬ বলে ৩৫ রান করে। শুরুতে দারুণ বোলিং করেও ডাচরা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি সেটার কৃতিত্ব তাঁকে দিতেই হবে।

শরিফুল ইসলাম এখন পর্যন্ত না খেললেও তাঁকে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। টাইগারদের পেস বিভাগের সবচেয়ে ইনফর্ম সদস্য তিনি। সবমিলিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই উদীয়মান তারকাদের সবাই এখন দলের সম্পদ হয়ে উঠেছেন। স্কিল, মেন্টালিটি কিংবা গেম সেন্স কোনকিছুতেই কমতি নেই তাঁদের। আগামীর বাংলাদেশ তাই চোখ বন্ধ করেই ভরসা করতে পারে জুনিয়র সাকিব-তামিমদের ওপর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link