বয়স মাত্র ১৩, কাগজে কলমে। গত বছর একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ২৭ সেপ্টেম্বর তাঁর ১৪ বছর পূর্ণ হবে। মানে, সত্যিকারের বয়সটা এখন ১৫ বছর। জন্ম ২০০৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর।
এর অর্থ দাঁড়ায়, মাধ্যমিকটাও দেওয়া হয়নি এখনও। এর মধ্যেই পুরো বিশ্বে হইচই ফেলে দিলেন বৈভব সুরিয়াভানশি। ইন্ডিয়ার প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মেগা নিলামে এক কোটি ১০ লাখ রুপিতে বিক্রি হল এই কিশোর।
অবশ্য তাঁকে ঘিরে আলোচনাটা ছিল আগে থেকেই। বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেট লিগের নিলামের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম তুলেই আলোড়েন তুলেছিলেন। নিলামের দ্বিতীয় দিনে তাকে নিয়ে যেন রীতিমতো কাড়াকাড়িই করল রাজস্থান রয়্যািলস আর দিল্লী ক্যাপিটালস। ৩০ লাখ ভিত্তিমূলের বৈভব শেষ অবধি ভিড়েছেন রাজস্থানের ডেরায়।
১৫৭৪ জন খেলোয়াড়, ভারতীয়ই ১১৬৫ জন। দলগুলো নিতে পারবে সর্বোচ্চ ২০৪ জন খেলোয়াড়। কত নামি-দামি অভিজ্ঞ তারকাও দল পান না আইপিএলে। সেখানে উড়ে এসে জুড়ে বসলো কি বৈভব!
না, তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেননি তিনি। ভারতের ক্রিকেট কাঠামোরই প্রোডাকশন তিনি। ১৩ বছর বয়সেই যেন ক্রিকেট দুনিয়া জয়ের পথে আছেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক, ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দলেও জায়গাটাও পেয়ে গেছেন।
অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব ১৯ দলের বিপক্ষে খেলেছেন ৬২ বলে ১০৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, চার ১৪ টা, ছক্কা হাকিয়েছেন চারটা। সেটাও আবার চার দিনের ম্যাচে। বিহারের রণধীর ভার্মা অনূর্ধ্ব ১৯ ওয়ানডে টুর্নামেন্টে ট্রিপল সেঞ্চুরিও পেয়েছেন।
দিন দুয়েক আগে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে, সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে। সেখানে দুটি ছক্কা মেরে ৬ বলে ১৩ রান করে আউট হয়ে গেছেন। ভয়ডরহীনতার কমতি নেই একবিন্দুও।
তবে, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে এমন আলোড়ন এর আগে অনেকেই তুলে হারিয়ে গেছেন। ভারতীয় ক্রিকেটেই এমন নজীর সবচেয়ে বেশি আছে। সেই ঝুঁকি আছে সুরিয়াভানশিরও। তবে, এই ঝুঁকিটা এড়াতে পারলেই, এই নামটা আগামী অনেক বছর সবাইকে শুনতে হবে।