অধিনায়ক বদলেও পুরতান রোগটা সাড়াতে পারছে না পাকিস্তান। প্রতিপক্ষের টেলেন্ডার ব্যাটারদের হাতে আরও একবার ধরাশায়ী হল মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল। চলমান জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেই খাবি খেয়েছে সাইম আইয়ুবরা।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে শুরুতে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। পাকিস্তানের স্পিন বিষে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। আগা সালমান এবং ফয়সাল আকরাম যেন যমদূত হিসাবে আবির্ভাব হন ব্যাটারদের সামনে। ১২৫ রানেই সাত উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। তবে সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানো শুরু সিকান্দার রাজাদের।
সিকান্দার রাজা আর রিচার্ড এনগারাভা যেন রীতিমত ছেলেখেলাই করল পাক পেসারদের সাথে। অষ্টম উইকেটে ৬২ রান যোগ করেন দু’জন। যদিও হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাননি একজনও। রাজা ফিরেছেন ৩৯ রানে, শেষ ব্যাটার হিসেবে যখন রিচার্ড ফিরে যান, তখন তার নামের পাশে ৫২ বলে ৪৮ রান। জিম্বাবুয়ের ইনিংস শেষ হয় ২০৫ রানে।
আগা-আকরাম দুইজনেই পেয়েছেন তিনটি করে উইকেট। পেসাররা ছিলেন নিষ্প্রভ, একটি করে উইকেট পেয়েছেন আমির জামাল, হারিস রউফ আর মোহাম্মাদ হাসনাইন। শেষের দিকে ব্যাটারদের আউট করতে না পারায় বহু টুর্নামেন্ট জেতার খুব কাছ থেকেও ফিরে এসেছে পাকিস্তান। নতুন অধিনায়কের আমলেও সমস্যা রয়েই গেল।
যদিও টার্গেটটা বেশ মামুলিই মনে হচ্ছিল পাকিস্তানের জন্য। তবে আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানের একটা জিনিস কিন্তু বেশ অনুমেয়। জিম্বাবুয়ের সাথে প্রায়ই পা ফসকে যায় তাদের। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। বৃষ্টি আইনে পরাজয়ই হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গী।
বৃষ্টি বাঁধা দেওয়ার আগে ৬০ রানে ছয়টি উইকেট হারায় পাকিস্তান। সেখান থেকে ম্যাচে ফেরা তাদের জন্যে ছিল প্রায় অসম্ভব। বৃষ্টি এসে যেন রিজওয়ানদের বরং বাঁচিয়েছে লজ্জা থেকে। বৃষ্টি আইনে ৮০ রানে হেরেছে পাকিস্তান।
৪৩ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থেকেছেন রিজওয়ান। তবে তাতে ফলাফল বদলায়নি কোন। দূর্দশা যেন পাকিস্তানের পিছু ছাড়ছেই না। কোন পরিবর্তনেও ফলাফল মিলছে না। ক্রমাগত অন্ধকারের দিকে হেঁটে চলেছে পাকিস্তানের ক্রিকেট।