যোগাযোগে সন্তুষ্ট বোর্ড সভাপতি

দেশের মাটিতে খর্ব শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টেস্ট সিরিজে হোয়াটওয়াশ হওয়ার পর নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। তবে দল টানা হারলেও তরুণ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তার আরেকটা সন্তুষ্টির জায়গা হলো দলের সিদ্ধান্ত এখন আগে থেকে জানতে পারছেন তিনি।

এছাড়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তরুণদের এমন পারফরম্যান্সের পরেও দৃষ্টিকটু ভাবে হারছে বাংলাদেশ। পাপন জানিয়েছেন হারের পিছনে শুধু পারফরম্যান্সই নয়। অনেক গুলো কারণ রয়েছে। বোর্ড সভাপতি অভিযোগ করেছেন অনেক সিদ্বান্তই তাদের মতো হয়নি।

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে ভালো লাগছে অন্য জিসিস। আপনারা যদি নিউজিল্যান্ড সিরিজ দেখেন, যদি কেউ বলে হারার পরেও কার খেলা ভালো লেগেছে, আমি বলবো নাঈম শেখ, আফিফ, আমি বলবো শেখ মেহেদি, শরিফুল, তাসকিন এই তো। এতো গুলো ছেলের ভিতর যে সব নাম বলছি তাসকিন ছাড়া সবাই নতুন। আবার শ্রীলঙ্কা টেস্টেও দেখেন আপনারা সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স শান্তর।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই যে নতুন ছেলেরা এখন সুযোগ পাচ্ছে। নিউজিল্যান্ডে যারা খেলতে গেছে প্রথম বার, কখনো খেলেইনি ঐ কন্ডিশনে। ভবিষৎয়ের সম্পদ এরা। এরপরেও হারছে। হারে কেনো, আমি আগেও বলেছি হারার পিছনে অনেক গুলো কারণ আছে, ডিসিশন গুলো আমাদের মতো করে হয়নি। একটা কমিউনিকেশন গ্যাপ ছিলো।’

তবে নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কা সিরিজে কোন কমিউনিকেশন গ্যাপ নেই। যথা সময়েই সব কিছু অবহিত করা হচ্ছে তাকে। যার কারণে নিজের মতামত দিতে পারছেন তিনি।

পাপন বলেন, ‘এবার যেটা হচ্ছে অন্তত জানি একাদশ কি হচ্ছে, টসে জিতলে আগে ব্যাটিং নেবে নাকি ফিল্ডিং নেবে এই জিনিস গুলো জানি। আগে যেটা ছিলো জানতামই না। জানলে যেটা হয় আমার যদি কিছু বলার থাকে বলতে পারি। এই দিক দিয়ে যোগাযোগ হচ্ছে।’

ফেব্রুয়ারিতে দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াটওয়াশ হোয়ার পর পাপন জানিয়েছিলেন ছয় মাসের ভিতর প্ল্যান করে সব কিছু নিয়ে কাজ করবেন। কিন্তু বোর্ড সভাপতি জানিয়েছেন করোনার কারণে এখনো কোন কিছুই করতে পারেননি তাঁরা।

তিনি বলেন, ‘খুব কঠিন, কারণ কিছু করতে পারছি না তো। যা যা প্ল্যান ছিলো করোনার কারণে তো সেটা হচ্ছেই না। অনেকেরই হচ্ছে না, শুধু একা বাংলাদেশ না। কিন্তু আমি যে কথাটা বলছি আপনাদেরকে। জেতার পরে বেশি খুশি হওয়ারও কিছু নাই। আর হেরে গেলে বেশি কস্ট পাওয়ার ও কিছু নাই। হারলে তো কষ্ট লাগবেই। এমন তো না বাংলাদেশ সব গুলো ম্যাচই জিতবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link