নেভারকুসেন থেকে নেভারলুজেন, অভাবনীয় সাফল্যের ১০ কারণ

নেভারকুসেন থেকে লেভারকুসেন। ক্লাবের ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মত বুন্দেসলিগা শিরোপা জেতার কৃতিত্ব দেখিয়েছে বেয়ার লেভারকুসেন। এর মাধ্যমে লিগে বায়ার্ন মিউনিখের ১১ বছরের আধিপত্যেরও অবসান হয়েছে।

কোচ জাভি আলোনসোর নিখুঁত পরিচালনায় এখনও পর্যন্ত অপরাজিত থেকেই শিরোপা নিশ্চিত করেছেন লেভারকুসেন। ৪৩ ম্যাচ পর এখনও পর্যন্ত ইউরোপের অপরাজিত থাকা একমাত্র দল লেভারকুসেন। দারুণ এই সাফল্যের পিছনে ১০টি কারণ খুঁজে বের করেছে স্প্যানিশ জনপ্রিয় দৈনিক মার্কা।

  • স্থিতিশীলতা

২০১৮ সালে ক্লাবের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান হিসেবে স্প্যানিয়ার্ড ফার্নান্দো কারো ও স্পোর্টিং ডিরেক্টর হিসেবে সাইমন রোলফেসের ফিরে আসাই লেভারকুসেনের সাফল্যের মূল ভিত্তি গড়ে দিয়েছে।

  • ফরমেশন

আলোনসো আসার পর থেকেই নির্দিস্ট ১-৩-৪-২-১ ফর্মেশনে তিনি স্থির ছিলেন। এই আস্থার জায়গা থেকেই দলের একের পর এক সাফল্য এসেছে।

  • হার না মানার মনোভাব

সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এবারের মৌসুমে একমাত্র দল হিসেবে ইউরোপে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত রয়েছে লেভারকুসেন। এ পর্যন্ত খেলা ৪৩ ম্যাচের ৩৮টিতে জয় ও পাঁচটি ড্র করেছে তারা। এর মাধ্যমে লেভারকুসেন ২০১১-১২ মৌসুমে জুভেন্টাসের রেকর্ড স্পর্শ করেছে।

  • গোলের বন্যা

শীর্ষ লিগে লেভারকুসেন সর্বোচ্চ সংখ্যক গোল করেছে। ৪৩ লিগ, কাপ ইউরোপা লিগের ম্যাচে তাদের গোল সংখ্যা ১২৩। প্রতি ম্যাচে এর গড় ২.৮।

  • গোলবারে নির্ভরযোগ্যতা

এবারের মৌসুমে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৯ গোল হজম করে বুন্দেসলিগায় সবচেয়ে সফল ও শক্তিশালী গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে প্রমান করেছেন লুকাস রাডেকি। ২৯ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ১৫টিতে গোল হজম করে তিনি বাকি প্রায় অর্ধেক ম্যাচে দলকে কোন গোল হজম করতে দেননি।

  • শক্তিশালী উইঙ্গার

বাম দিকে আলেহান্দ্রো গ্রিমালডো ও ডানদিকে হেরেমি ফ্রিমপং যেন একে অপরকে ছাড়িয়ে যাবার জন্যই প্রতি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। ১১ গোল ও ১৬ এ্যাসিস্ট করে ইউরোপের ডিফেন্ডার হিসেবে শীর্ষে অবস্থান করছেন গ্রিমালডো। ফ্রিমপং করেছেন ১২ গোল, এছাড়া তার ১১টি অ্যাসিস্টও রয়েছে।

  • ফিরে আসা

২০২৪ সালে ইনজুরি টাইমে সাত গোল করে দলকে সমতায় কিংবা জয় উপহার দিয়েছে খেলোয়াড়রা। ম্যাচগুলো হলো : লিপজিগ (২-৩), হফেনহেইম (২-১), কারাবাগ (২-২ ও ৩-২), অগাসবার্গ (০-১), স্টুটগার্ট (৩-২)।

  • গ্রানিত জাকা

২০ মিলিয়ন ইউরোতে আর্সেনাল থেকে লেভারকুসেনে আসা গ্রানিত জাকা আলোনসোর আস্থার জায়গায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। শীর্ষ লিগে সবচেয়ে বেশি পাস দেয়া খেলোয়াড় তিনি এবং একজন সত্যিকারের নেতা হিসেবে তিনি দলের মধ্যে নিজেকে প্রমান করেছেন।

  • দ্য প্লেমেকার

১৭ গোল ও ১৮ এ্যাসিস্ট করে লোরিয়ান রিটজ বায়ারের সবচেয়ে প্রভাবশালী খেলোয়াড় হিসেবে এবারের মৌসুমে নিজেকে প্রমান করেছেন। গুরুতর ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠে আবারও ফুটবলে একজন উজ্জ্বল তারকা হিসেবেই তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন।

  • শক্তির গভীরতা

জানুয়ারি পর্যন্ত আলোসনো তার একই মূল একাদশে আস্থা রেখেছিলেন। মৌসুমের শেষে এসে বদলী হিসেবে পিয়েরো হিনকেপি, রবার্ট এ্যানড্রিচ, ন্যাথান টেলা, প্যাট্রিক শিক দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link