২০১৯ সাল থেকে ১০ দল নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন করে আসছে আইসিসি। এ নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। অনেক বিশেষজ্ঞই বলেছেন, সহযোগি দেশগুলোর বড় হওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে এই কম দলের বিশ্বকাপ করে।
আইসিসি সেই সমালোচনায় সম্ভবত কান দিয়েছে।
২০২৩ সালে ভারতে ১০ দল নিয়েই বিশ্বকাপ হবে; সেটাতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে আইসিসি সর্বশেষ সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২৭ সাল থেকে আবার ১৪ দলের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে আবার বিশ্বকাপে দেখা যাবে সহযোগি দেশগুলোকে।
এই সিদ্ধান্তের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে ২০২৭ বিশ্বকাপের বাছাই পদ্ধতিতেও ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখানকার মত সুপার লিগের ভেতর দিয়ে আর বিশ্বকাপের দল বাছাই করা হবে না। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী র্যাংকিংয়ের সেরা ১০ দল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলবে। আর বাকী চার দল আসবে বাছাইপর্ব খেলে।
সর্বশেষ ২০২৩ বিশ্বকাপের জন্য তিন বছর মেয়াদী প্রথম সুপার লিগে খেলেছে ১৩টি দল। ১২টি টেস্ট খেলুড়ে দেশ এই সুপার লিগে খেলেছে। এর সঙ্গে অংশ নিয়েছে ২০১৫-১৭ আইসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগের বিজয়ী দল নেদারল্যান্ডস।
প্রতিটি দল এই সময়ে আটটি করে সিরিজ খেলবে; চারটি দেশের মাটিতে, চারটি প্রতিপক্ষের মাঠে। এই সিরিজগুলো এখনও শেষ হয়নি সব। প্রতিটি সিরিজ হবে তিন ম্যাচের। শীর্ষ সাত দল সরাসরি অংশ নেবে ২০২৩ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে। ভারত সরাসরি খেলবে স্বাগতিক হিসেবে।
এই সুপার লিগের ফলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলো হঠাৎ করেই দারুন গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠেছিলো। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের অংশ হওয়ায় এই দ্বি-পাক্ষিক সিরিজগুলো পাচ্ছে বাড়তি গুরুত্বপূর্ণ। একেকটি ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট করে পাওয়ার সুযোগ থাকায় প্রতিটি ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ। সিরিজ নিষ্পত্তি হয়ে গেলেও আদতে স্রেফ নিয়মরক্ষার কোনো ম্যাচ নেই।
এবারের পর থেকেই এই সুপার লিগ আবার বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। সেখানে আইসিসি একটা তারিখ ঠিক করে দেবে। ওই নির্দিষ্ট তারিখে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা ১০ দল সরাসরি ২০২৭ বিশ্বকাপ খেলবে। আর বাকীদের নিয়ে সাবেক আইসিসি ট্রফির মত; যেটি আবার কয়েক স্তরে বিভক্ত; একটি বাছাই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। আর এই টুর্নামেন্টের চার সেমিফাইনালিস্ট খেলবে বিশ্বকাপ।
আইসিসি আরও একবার মত বদলালো; ফরম্যাট বদলালো। এখন দেখার বিষয়, এই মতে তারা কতদিন স্থির থাকতে পারে।