এবার মন মতো জয় পেল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল

আগের ম্যাচে ভালো শুরু করে ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপ ছিলো; ছিলো আজকের ম্যাচে বড় রান তাড়া করার চ্যালেঞ্জ। আক্ষেপ এবং চ্যালেঞ্জকে এক বিন্দুতে মিলিয়ে দারুণ এক ইনিংস খেললেন সাইফ হাসান; সাথে সঙ্গ দিলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও তৌহিদ হৃদয়। তাতেই তৃতীয় ওয়ানডেতে ৬ উইকেটের সহজ জয় পেলো বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।

এই জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশের যুবারা। আয়ারল্যান্ডের এক ক্রিকেটার করোনা পজেটিভ হওয়াতে পরিত্যক্ত হয়েছে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে লড়াই করে জয় পাওয়া বাংলাদেশকে আজকেও ২৬০ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলো আয়ারল্যান্ড উলভস। বড় রান তাড়া করতে নামা বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সাইফ হাসান। ১৭ রান করে তামিম বিদায় নিলে ভাঙে ৪৪ রানের উদ্বোধনী জুটি।

তামিমের বিদায়ের পর মাহমুদুল হাসান জয় (১৬) ও ইয়াসির আলি রাব্বি (১৩) দ্রুত ফিরে গেলেও হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন অধিনায়ক সাইফ হাসান। চতুর্থ উইকেটে তৌহিদ হৃদয়কে সাথে নিয়ে ৬৮ রানের জুটি গড়ার পর সাইফ হাসান যখন আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তখনও জয়ের জন্য ৬৯ রান প্রয়োজন ছিলো বাংলাদেশের। সাইফ হাসানের ব্যাট থেকে আসে ১১টি চার ও ৫ টি ছয়ের সাহায্যে ১২৫ বলে ১২০ রান।

সাইফের বিদায়ের পর বাকি কাজটা শামিম হোসেনকে নিয়ে শেষ করেন তৌহিদ হৃদয়। হৃদয় ৪৩ ও শামিম ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। আয়ারল্যান্ড উলভসের পক্ষে ডেলানি ২টি এবং প্রিটোরিয়াস ও চেজ ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটামুটি ভালোই করেন দুই আইরিশ ওপেনার জেমস ম্যাককুলাম ও রুহান প্রিটোরিয়াস। আগের ম্যাচে ৯০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা প্রিটোরিয়াস ২৫ বলে ৭ রান করে আউট হয়ে গেলে ভাঙ্গে ৩৩ রানের উদ্বোধনী জুটি।

প্রিটোরিয়াস আউট হয়ে গেলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জেরেমি ললোরকে নিয়ে দলের হাল ধরেন জেমস ম্যাককুলাম। ৫১ বলে ৪০ রান করে ম্যাককুলাম যখন বড় কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছেন তখনই বাঁধে বিপত্তি; রান নিতে গিয়ে পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন এই ওপেনার।

ম্যাককুলাম উঠে যাওয়ার পর উইকেটে এসে ললোকে সাথে নিয়ে দেখে শুনে খেলতে থাকেন  আয়ারল্যান্ড উলভসের অধিনায়ক হ্যারি টেক্টর। তবে এই জুটিকে বেশী দূর যেতে দেননি মকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। ললোকে (২১) ফিরিয়ে দিয়ে ৩২ রানের জুটি ভাঙ্গেন এই পেসার। ললোর বিদায়ের পর ৩৬ রান করে ফিরে যান আইরিশ অধিনায়ক টেক্টরও।

১৪০ রানে ৩ উইকেট হারানো আয়ারল্যান্ড বড় সংগ্রহের ভিত্তি পায় কার্টিস ক্যাম্ফার ও লরকান টাকারের ব্যাটে। চতুর্থ উইকেটে ৬০ রান যোগ করেন দুজন। ৫১ বলে ৪৩ রান যোগ করে ক্যাম্ফার ফিরে গেলে একাই লড়াই চালিয়ে যান টাকার। ইনিংসের শেষ দিকে বাংলাদেশি বোলারদের উপর তান্ডব চালান এই আইরিশ ব্যাটসম্যান।

টাকারের ৫৩ বলে ৮২ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬০ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড উলভস। বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের পক্ষে মকিদুল ইসলাম ৩ টি এবং সুমন খান ও তৌহিদ হৃদয় ১ টি করে উইকেট শিকার করেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আয়ারল্যান্ড উলভস: ২৬০/৭ (ওভার:৫০; ম্যাককুলাম- ৪০, প্রিটোরিয়াস- ৭, ল’লর- ২১, টেক্টর- ৩৬, ক্যাম্ফার- ৪৩, টাকার- ৮২*, ডেলানি- ৯, গেটকেট- ১, হিউম- ১, গার্থ- ৪*) (মুগ্ধ- ১০-১-৫৩-৩, সুমন- ১০-০-৫১-১, হৃদয়- ৪-০-১৮-১)

বাংলাদেশ ইমার্জিং দল: ২৬৪/৪ (ওভার:৪৫.৩; সাইফ- ১২০, তানজিদ- ১৭, জয়- ১৬, রাব্বি- ১৩, হৃদয়- ৪৩*, শামীম- ৪৪*) (চেজ- ৮.৩-০-৫২-১, প্রিটোরিয়াস- ৮-২-৪১-১, ডেলানি- ১০-০-৫২-২)

ফলাফল: বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ৬ উইকেটে জয়ী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link