বিকেএসপিতে কোচ হয়ে আসছেন টাইবু

‘এখন পর্যন্ত টাইবুর আসাটা নিশ্চিত। আমরা তাঁর সাথে যোগাযোগ করেছি। তিনি সম্মতি দিয়েছেন। এখন আমাদের এখানে যে ফরম্যালিটিজ গুলো রয়েছে সে গুলো করছি। আমরা তাঁকে নিয়ে আপাতত এক বছরের জন্য পরিকল্পনা করেছি। যদি ভালো মনে হয় তবে ভবিষৎয়ে চুক্তি বাড়তে পারে।’

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপির) ক্রিকেট কোচ হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক টাটেন্ডা টাইবু। এখনো চুক্তি সম্পূর্ণ না হলেও চলতি মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশে এসে বিকেএসপির দায়িত্ব বুঝে নিবেন জিম্বাবুয়ের সাবেক এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

টাইবুর নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি খেলা ৭১ কে নিশ্চিত করে বিকেসএপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: রাশীদুল হাসান জানিয়েছেন আপাদত এক বছরের চুক্তিতে বাংলাদেশে আসছেন সাবেক এই জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান। তবে ভালো মনে হলে তাকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করবে বিকেএসপি।

বিকেএসপির মহাপরিচালক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত টাইবুর আসাটা নিশ্চিত। আমরা তাঁর সাথে যোগাযোগ করেছি। তিনি সম্মতি দিয়েছেন। এখন আমাদের এখানে যে ফরম্যালিটিজ গুলো রয়েছে সে গুলো করছি। আমরা তাঁকে নিয়ে আপাতত এক বছরের জন্য পরিকল্পনা করেছি। যদি ভালো মনে হয় তবে ভবিষৎয়ে চুক্তি বাড়তে পারে।’

তবে সব কিছু চূড়ান্ত হলেও টাইবু কবে নাগাদ বাংলাদেশে আসবে এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি বিকেএসপির মহাপরিচালক। তিনি জানিয়েছেন করোনার কারণে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গুলোর অনুমতি নিতে হচ্ছে তাদের। প্রোসেস শেষ হলে চলতি মাসের শেষের দিকে আসার সম্ভবনা রয়েছে তাঁর।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে অ্যারেঞ্জের কাজ গুলো করতে হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একটা অনুমতি নিতে হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়েও আমরা চিঠি দিয়েছি তাঁর ভিসার ব্যাপারে সহযোগিতা করতে। আশা করছি প্রোসেস গুলো শেষ হলেই চলে আসবে। আমরা চেস্টা করছি চলতি মাসেই নিয়ে আসতে।’

২০০১ সালে অভিষেকের পর ২০১২ সালেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দেন টাটেন্ডা টাইবু। এক যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ২৮ টেস্টে ১৫৪৬ রান, ১৫০ ওয়ানডেতে ৩৩৯৩ রান এবং ১৭ টি-টোয়েন্টিততে ২৫৯ রান সংগ্রহ করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

অভিষেকের মাত্র তিন বছর পর ২০০৪ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে জিম্বাবুয়ের টেস্ট দলের নেতৃত্বও পান টাইবু। যা ২০১৯ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট অধিনায়কত্ব করার রেকর্ড ছিল। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে অধিনায়কত্ব করে এই রেকর্ড ভেঙে দেন আফগানিস্তানের রশিদ খান।

২০১২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ২০১৯ সাল পর্যন্ত ঘরোয়া লিগে খেলা চালিয়ে গেছেন টাইবু। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১২১ ম্যাচে ৩৭.৫৯ গড়ে ৭০৬৭ রান রয়েছে টাইবুর ঝুলিতে। সময়ের অনেক আগেই তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ঘরোয়া ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। এবার নতুন পরিচয়ে কেমন করেন – সেটাই দেখার পালা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...