করোনা ভাইরাসের কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) বাকি অংশ শুরু হবে আগামী ১ জুন থেকে। স্থগিত হওয়া অংশ শুরু হওয়ার আগে আবার অনুষ্ঠিত হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট। প্লেয়ার্স ড্রাফটে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল-সহ জায়গা পেয়েছেন আরো তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটার।
সাকিব ও তামিমের সাথে প্লেয়ার্স ড্রাফটে নাম রয়েছে তাসকিন আহমেদ, সাব্বির রহমান ও লিটন দাসের। আগামী সপ্তাহে ভার্চুয়াল সেশনে অনুষ্ঠিত হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট। ড্রাফটে অংশ নিবেন ১৩২ জন ক্রিকেটার।
প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। ঐ ক্যাটাগরিতে সাকিবের সাথে আরো রয়েছেন আন্দ্রে রাসেল, এভিন লুইস ও মার্টিন গাপটিল। আর ডায়মন্ড ক্যাটাগরিতে রয়েছেন তামিম ইকবাল। ডায়মন্ড ক্যাটাগরিতে আরো রয়েছেন উসমান খাজা, জেমস ফকনার, মর্নে মরকেল ও অ্যাডাম মিলনে।
আর সিলভার ক্যাটাগরিতে রয়েছেন তাসকিন আহমেদ, সাব্বির রহমান ও লিটন দাস। জুন মাসের শুরুতে পিএসএলের সাথে শুরু হবে ইংল্যান্ডের ভাইটালিটি টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট। আর ঐ টুর্নামেন্ট চলার সময় অনেক ক্রিকেটারকে পাবে না পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলো। আর এজন্যই আবার অনুষ্টিত প্লেয়ার্স ড্রাফট।
এর আগে করোনা মাহামারীর ভিতরই গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে শুরু হয়েছিলো পিএসএলের ষষ্ঠ আসর। জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবল নিশ্চিত করে টুর্নামেন্ট আয়োজন করলেও কয়েক ম্যাচ অনুষ্টিত হওয়ার পরই সাত জন ক্রিকেটারের সাথে করোনায় আক্রান্ত হন দুই জন কোচিং স্টাফের সদস্য।
করোনা শনাক্ত হওয়ার পরই ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোর সাথে বৈঠকে বসে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিএসএল স্থগিত ঘোষণা করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পিএসএল স্থগিত ঘোষণা করে পিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয় ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোর সাথে আবারো আলোচনা শেষে সিদ্বান্ত নেওয়া হবে স্থগিত হওয়া অংশ নিয়ে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সদস্যরা গত ১১ এপ্রিল ভার্চুয়ালে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয় আগামী ১ জুন থেকে আবার শুরু হবে পিএসএলের বাকি অংশ।
আগামী ১ জুন শুরু হওয়ার পর ২০ জুন অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল। সব গুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। দিনের প্রথম ম্যাচ শুরু হবে বিকাল ৫ টায় ও দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে রাত ১০ টায়।
স্থগিত হওয়ার আগে এবারের আসরের ১৪ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এই ১৪ ম্যাচ শেষে পিএসএলের পয়েন্ট টেবিলে ৫ মাচে ৩ জয় নিয়ে শীর্ষে রয়েছে করাচি কিংস এবং সমান জয় নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পেশোয়ার জালমি। এরপরের স্থান গুলোতে রয়েছে যথাক্রমে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড, লাহোর কালান্দার্স, মুলতান সুলতান্স ও কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটরসের।
৫ ম্যাচে ৫৯.৪০ গড়ে ২৯৭ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী মোহাম্মদ রেজওয়ান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাবর আজমের ব্যাট থেকে এসেছে ২৫৮ রান। ৫ ম্যাচে ১২ উইকেট শিকার করে শীর্ষে রয়েছেন শান মাসুদ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা শাহীন শাহ আফ্রিদী ও শাহনেওয়াজ ধানীর শিকার ৯ টি করে উইকেট।