তিন ম্যাচ পর রাজস্থানের জয়

নিজেদের খেলা সর্বশেষ তিন ম্যাচেই হেরেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালস। তাই ঘুরে দাঁড়াতে আজকের ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল দুই দলের জন্যই। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ভাগ্য ফেরাতে পারেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। বোলারদের নৈপুণ্যে টানা তিন ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে রাজস্থান রয়্যালস।

নিজেদের খেলা সর্বশেষ তিন ম্যাচেই হেরেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালস। তাই ঘুরে দাঁড়াতে আজকের ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল দুই দলের জন্যই। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ভাগ্য ফেরাতে পারেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। বোলারদের নৈপুণ্যে টানা তিন ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে রাজস্থান রয়্যালস।

কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানি থেকে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে সাঞ্জু স্যামসনের দল। আর টানা চার ম্যাচ হেরে আরো এক ধাপ পিছিয়ে পয়েন্ট টেবিলের একদম নিচে অবস্থান করছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

কলকাতাকে মাত্র ১৩৩ রানে বেঁধে ফেলে প্রথম ইনিংস শেষেই রাজস্থান রয়্যালসের জয় প্রায় নিশ্চিতই করে দিয়েছিলেন বোলাররা। তবে ১৩৪ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়েছিল না রাজস্থানের। দলীয় ৪০ রানেই দুই ওপেনার জস বাটলার ও যশস্বী জ্যাসওয়ালকে হারায় দলটি। বাটলার করেন ৫ রান ও জ্যাসওয়ালের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান।

এরপর তৃতীয় উইকেটে শিভাম দুবেকে নিয়ে সাঞ্জু স্যামসন ৪৫ যোগ করার পর আবার দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রাজস্থান। ফিরে যান শিভাম দুবে ও রাহুল তেওয়াতিওয়া। দুবে ২২ রান ও রাহুল করেন ৫ রান। ১০০ রানে ৪ উইকেট হারালেও জয় পেতে সমস্য হয়নি রাজস্থানের। বাকি কাজটা মিলারকে নিয়ে সফল ভাবে শেষ করেন স্যামসন।

সাঞ্জু স্যামসন ৪২ রানে ও ডেভিড মিলার ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলারদের পক্ষে ২ টি উইকেট শিকার করেন চক্রবর্তী ও ১ টি করে উইকেট শিকার করেন প্রসিধ ও মাভি।

এর আগে মুম্বাইয়ের ওয়াঙখেড়ে স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা কলকাতা নাইট রাইডার্সকে শুরুতেই চেপে ধরেন রাজস্থান রয়্যালসের বোলাররা। দুই ওপেনার শুভমান গিল ও নীতিশ রানা উদ্বোধনী জুটিতে ৫.৪ ওভারে যোগ করেন মাত্র ২৫ রান।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে রান আউট হয়ে শুভমান গিল ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি। ১৯ বলে মাত্র ১১ রান আসে শুভমান গিলের ব্যাট থেকে। এরপর ২৫ বলে ২২ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলে ফিরে যান আরেক ওপেনার নীতিশ রানাও।

দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর উইকেটে এসে রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন সুনীল নারাইন ও ইয়ন মরগ্যানও। ৭ বলে ৬ রান করে নারাইন ও রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন মরগ্যান। ৬১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া কলকাতা পঞ্চম উইকেটে ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেস্টা করে।

কিন্তু উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি রাহুল ত্রিপাঠি ও দিনেশ কার্তিক। ২৬ বলে ৩৬ রান করে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম শিকার হয়ে ফিরে যান রাহুল ত্রিপাঠি এবং ২৪ বলে ২৫ রান করে আউট হয়ে যান কার্তিক।

এরপর আন্দ্রে রাসেল ও প্যাট কামিন্স দ্রুত বিদায় নিলে বড় রানের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান সংগ্রহ করে কলকাতা।

রাজস্থান রয়্যালসের বোলারদের ভিতর সবচেয়ে সফল ছিলেন ক্রিস মরিস। ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন এই পেসার। এছাড়া মুস্তাফিজুর রহমান, চেতন সাকারিয়া ও জয়দেব উনাদকাত শিকার করেন ১ টি করে উইকেট।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৩৩/৭ ওভার: ২০; রানা- ২২, গিল- ১১, ত্রিপাঠি- ৩৬, মরগ্যান- ০, নারাইন- ৬, কার্তিক- ২৫, রাসেল- ৯, কামিন্স- ১০ ) (মরিস- ৪-০-২৩-৪, মুস্তাফিজ- ৪-০-২২-১, সাকারিয়া- ৪-০-৩১-১, উনাদকাত- ৪-০-২৫-১)

রাজস্থান রয়্যালস: ১৩৪/৪ (ওভার: ১৮.৫ ; বাটলার- ৫, জ্যাসওয়াল- ২২, স্যামসন- ৪২*, দুবে- ২২, রাহুল- ৫, মিলার- ২৪*) (চক্রবর্তী- ৪-০-৩২-২)

ফলাফল: রাজস্থান রয়্যালস ৬ উইকেটে জয়ী।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...