মানকাডিং রহস্যের পাঁচ অধ্যায়

ভাগ্যের পরিহাসে মাঝে মাঝে রান আউট হতে হয়, কিন্তু কোন ব্যাটসম্যানই চান না রান আউট হতে। তবে নন স্ট্রাইকার এন্ডে যদি রান আউট হতে হয় তবে সেটা দুর্ভাগ্যের সর্বনিন্ম স্তরের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এমন ঘটনা ঘটেছে মাত্র পাঁচ বার, যার মধ্যে চারবারই দেখা গিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।

ঘরোয়া ক্রিকেটে নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে রান আউট হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল ২০১০ সালে। সে বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৭ তারিখে নিউজিল্যান্ডের লিস্ট এ টুর্নামেন্টে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট মুখোমুখি হয়েছিল নর্দান ডিস্ট্রিক্ট। ওয়ানগারেইতে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে জর্জ ওয়ার্কার নন স্ট্রাইকার প্রান্তে রান আউট করেছিলেন এক তরুণকে; আর তিনি হলেন বর্তমান প্রজন্মের ফ্যাভ ফোরের একজন, কেন উইলিয়ামসন।

আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে রান আউট হয়েছেন ব্রায়ান লাকখ্রাস্ট, গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার, পিটার কার্স্টেন এবং জশ বাটলার।

১৯৭৪/৭৫ সালে অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচে গ্রেগ চ্যাপেল মানকাড আউট করেছিলেন ব্রায়ান লাকখ্রাস্টকে। ১৯৯২/৯৩ সালে গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার নিউজিল্যান্ডের দীপক প্যাটেলের ওভারে মানকাড আউট হয়েছিলেন। একই বছর কিংবদন্তি অলরাউন্ডার কপিল দেব এই প্রক্রিয়ায় প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পিটার কিরস্টেনকে।

তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে জস বাটলারের আউট নিয়ে। ২০১৪ সালে সচিত্রা সেনানায়কে বাটলারকে আউট করেছিলেন নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা অবস্থাতেই। শুধু ওডিআইতেই নয়, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও এমন আউট হতে হয়েছিল এই ইংলিশ উইকেটকিপারকে।

একটা সময় অবশ্য এই আউটকে মানকাড বলা হতো। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিয়ম পরিবর্তন করে এটিকে ‘রান আউট অ্যাট নন স্ট্রাইকারস এন্ড’ হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়। এতে অবশ্য পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। বোল্ড আউট কিংবা ক্যাচ আউটের মত এটিকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি ক্রিকেট ভক্তরা। এখনো কোন ম্যাচে বোলিং প্রান্তে ব্যাটারকে রান আউট করা হলে জন্ম নেয় আলোচনা সমালোচনা।

অনেক নামী দামী ক্রিকেটারও এই আউটকে আনফেয়ার মনে করেন। কেউ মনে করেন ব্যাটসম্যানকে সতর্ক করাই যথেষ্ট, কারো মতে, বোলিং দলকে নির্দিষ্ট সংখ্যক রান পেনাল্টি হিসেবে দেয়া যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link