১৮ তম ওভারের শেষ দুই বলে উইকেট। এরপর ২০ তম ওভারের শুরুতে আবারও আঘাত হানেন প্যাট কামিন্স। ব্যাস, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসের সপ্তম হ্যাটট্রিক পেয়ে যান অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। চলতি বিশ্বকাপের এটা প্রথম হ্যাটট্রিক।
হ্যাটট্রিক করা এমনিতেই কঠিন। তাছাড়া পাওয়ার প্লে, ভারী ব্যাটের ব্যবহার, ফিল্ডার রেস্ট্রিকশন সবকিছু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে করে তুলেছে ব্যাটিংনির্ভর। কম ইকোনমিতে বল করাই যেখানে কঠিন, সেখানে হ্যাটট্রিকের স্বপ্ন দেখা বিলাসিতাই বটে।
তবে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটা কেনো অজি বোলারের পাওয়া দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। এর আগে পেয়েছেন ব্রেট লি। দু’জনই ফাস্ট বোলার। আর এর চেয়েও বড় ব্যাপার হল – দু’জনের হ্যাটট্রিকই এসেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
ব্রেট’র কীর্তিটা ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরের ঘটনা। মজার ব্যাপার হল – দু’টো ম্যাচেই খেলেছেন স্বয়ং সাকিব আল হাসান। ২০০৭ সালের ম্যাচে অবশ্য কেবল খেলাই নয় – ব্রেট লি’র প্রথম শিকারও ছিলেন সাকিব।
সেদিন, ১৭ তম ওভারে বোলিং এ এসে পুরো খেলার চিত্রনাট্য পাল্টে দেন ব্রেট লি। প্রথমে সাকিব আল হাসানকে বাধ্য করেন উইকেট কিপারের কাছে ক্যাচ তুলে দিতে। পরের বলেই স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন মাশরাফি মর্তুজার। চতুর্থ তথা হ্যাটট্রিক করার বলে স্ট্রাইকে ছিলেন অলক কাপালি। কাপালি সেই বলটা মিড-উইকেটে ঠেলে সিংগেল নিতে চাইলেও বল এসে সরাসরি আঘাত হানে প্যাডে।
আম্পায়ার আসাদ রউফ অপেক্ষা করেননি, আঙ্গুল তুলে জানিয়ে দেন তিনি আউট। ফলশ্রুতিতে বিশ্বকাপে দেখা মেলে প্রথম হ্যাটট্রিকের। সেদিন বাংলাদেশের দেয়া ১২৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ ওভার বাকি থাকতেই পেরিয়ে গিয়েছিল অজিরা।
১৪ বছরের ব্যবধানে এবার ১৬ রান বেশি তুলেছে বাংলাদেশ দল। এখানেও বড় অবদান ওই প্যাট কামিন্সেরই। হ্যাটট্রিকের পথে তিনি শিকার করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শেখ মেহেদী হাসান ও তাওহীদ হৃদয়কে। বাংলাদেশের বড় রান তোলার স্বপ্ন সেখানেই ধুয়ে-মুছে যায়।