যেকোনো ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারে কখনো কখনো ছন্দপতন ঘটা বেশ স্বাভাবিক। সেসময় সমালোচনাও শুনতে হয় বিস্তর, তবে কেউ কেউ তাতে পাত্তা না দিয়েই ফিরেছেন স্বরূপে। কেউ আবার নিন্দুকের চাপে পৃষ্ঠ হয়েছেন দিনের পর দিন। লোকেশ রাহুল অবশ্য ব্যতিক্রম, অফ ফর্ম কাটিয়ে তিনি ফিরেছেন ঠিকই কিন্তু বাইরের সব নেতিবাচক আলোচনা তাঁর ওপর প্রভাব ফেলেছে সেটাও স্বীকার করেছেন।
লক্ষ্মৌ সুপার জায়ান্টস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর এক ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েছিলেন রাহুল। সেসময় তাঁর টেন্ডন ছিঁড়ে গিয়েছিল, ফলে ছুরি-কাঁচির নিচে যেতে হয়েছিল তাঁকে।
আবার ইনজুরির আগে দীর্ঘ একটা সময় ব্যাট হাতে ম্লান ছিলেন এই ডানহাতি। চোট আর অফ ফর্ম মিলিয়ে তাই মানসিকভাবে খানিকটা পিছিয়ে পড়েন তিনি। যদিও টিম ম্যানেজম্যান্ট বরাবরই তাঁর পাশে ছিল, তাঁকে ফর্মে ফেরার জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন দিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘ সময় ধরে বাইরের আলোচনা মোকাবেলা করার চেষ্টা করেছি। আমি ভেবেছিলাম এসব আমাকে প্রভাবিত করবে না, কিন্তু গত এক বছরে এটি আমাকে প্রভাবিত করতে শুরু করেছে। এবং তারপরে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমাকে এগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে।
এই ব্যাটার আরো যোগ করেন, ‘তাই যখনি আমি খেলার বাইরে সময় পেয়েছিলাম, সেই দিকে কাজ করার চেষ্টা করেছি – একটা কথা বুঝেছি যে, মানসিকভাবে আপনাকে অনেক শক্তিশালী হতে হবে, অনেক বেশি মোটা চামড়ার।’
এছাড়া সাংবাদিকদের হার্দিক পান্ডিয়ার পরিবর্তে কার ওপর ভরসা করবে ভারত সে ব্যাপারেও জানিয়েছেন তিনি; বলেন, ‘হার্দিক দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং সে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই তাকে না পাওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক। সুরিয়াকুমার সম্ভবত সুযোগ পাবে এবং আমরা জানি সুরিয়া কি করতে পারে। তাই, হার্দিক ফিরে না আসা পর্যন্ত তাঁর উপর আমাদের আস্থা থাকবে।’
আগে ব্যাটিং করার প্রসঙ্গে এই উইকেটকিপার বলেন, ‘আগে ব্যাটিং করার সুযোগ পেলে দারুণ হবে। গত কয়েক ম্যাচে এমনটা ঘটেনি, তাই এটি চ্যালেঞ্জিং হবে আমাদের জন্য।’