বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি চমক দেখিয়েছেন যে তরুণেরা তাঁদের তালিকা করা হলে সবার ওপরে রাখতে হবে রাচিন রবীন্দ্রকে। এই আসরে ৬৪.২২ গড়ে ৫৭৮ রান করেছেন তিনি; তরুণ ব্যাটারদের মধ্যে কেউই বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক আসরে এত রান করতে পারেননি। আবার তিনটি সেঞ্চুরি করে এই ব্যাটার পিছনে ফেলে শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ডও।
তবে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট শেষ, নিউজিল্যান্ডের মনোযোগ এখন বাংলাদেশের বিপক্ষে লাল বলের টুর্নামেন্টে। রবীন্দ্রও এখন নিজেকে ব্যস্ত রাখছেন লাল বলের অনুশীলনে; বিশ্বকাপের ফর্ম এই সিরিজে টেনে আনার লক্ষ্য তাঁর।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের দারুণ অভিজ্ঞতার পর লাল বলের ক্রিকেটে ফিরে যাওয়াটা উপভোগ করছি। কারণ এটি আপনাকে বড় স্কোর করার জন্য একটি ভাল সুযোগ দেয়।’
তবে বাংলাদেশের পিচের ব্যাপারে সতর্ক এই তরুণ; বলেন, ‘বড় রান করাটা পিচে উপর নির্ভর করে। পিচ কি করছে সেটা বুঝতে হবে। ঝুঁকি না নিয়ে স্বাভাবিক খেলা খেলতে হবে; খেলার পরিস্থিতি বুঝে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
দলকে দ্রুত মানিয়ে নেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন বাঁ-হাতি এই অলরাউন্ডার। প্রথমত প্রায় দেড় মাস টানা সাদা বলে খেলার পর লাল বলে খেলাটা কঠিন হবে; তার উপর বাংলাদেশের স্পিন বান্ধব পিচের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারও আছে। তিনি বলেন, ‘এটা নিশ্চিত একটি ভিন্ন পরিবেশ; নতুন বলে পেসার নয়, আমি হয়তো ক্রিজে এসেই সরাসরি একজন স্পিনারের মুখোমুখি হব।’
শুধু ব্যাটিং হয়, বোলিং দিয়েও অবদান রাখতে চান এই উদীয়মান তারকা। তিনি বলেন, ‘আমরা সাধারণত দেশে যে গতিতে বোলিং করেয অভ্যস্ত তার চেয়ে একটু বেশি জোরে করতে হবে। যদি ডেলিভারি ভাল জায়গায় পিচ করানো যায় তাহলে আশা করি সাফল্য পাব।’
২০২১ সালে বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি খেলতে এসেছিলেন রাচিন রবীন্দ্র। আবার ২০২২ সালে টাইগাররা যখন নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেছিল তখন দলে ছিলেন তিনি। ২৮শে নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজে নিজের পুরনো অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর এই কিউই।