টানা দশ ম্যাচ জয় এরপর একটা পরাজয় – প্রতিটা জয়ের সাথে যেই স্বপ্ন ক্রমাগত কাছে আসছিল সেই স্বপ্নটা এক লহমায় হাত ফসকে গেলো ছয় উইকেটের হারে। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওমন ব্যর্থতা তাই মেনে নেয়া কঠিন সবার জন্যই, সব ভক্ত-সমর্থকের মনেই প্রশ্ন জেগেছিল হুট করে কেন ছন্দপতন হলো টিম ইন্ডিয়ার।
উত্তরটা খোঁজার চেষ্টা করেছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই); হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় আর অধিনায়ক রোহিত শর্মাকেই দিতে হয়েছে সেটা। বোর্ড সদর দপ্তরে ফাইনাল ম্যাচের পোস্টমর্টেম করতে এই দুইজনের সাথে আলোচনায় বসেছিলেন বোর্ড কর্তারা।
দ্রাবিড় অবশ্য কোন ক্রিকেটার বা গেমপ্ল্যানের দিকে আঙুল তোলেননি; আহমেদাবাদের পিচকে দোষ দিয়েছেন তিনি। সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘ভারতের টিম ম্যানেজম্যান্ট যতটা ভেবেছিল ততটা টার্নিং পিচ হয়নি। এবং অস্ট্রেলিয়াকে কাবু করতে না পারার পিছনে প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি ছিল।’
মূলত ফাইনালের পিচটি আগেও ব্যবহার করা হয়েছিল; পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ এখানেই খেলা হয়েছে। সেই দ্বৈরথে অবশ্য স্বাগতিকরা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে জিতেছিল। কিন্তু টসে জেতাটা সেদিন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাবর আজমের দল ফাইনালে ভারতের মতোই মাঝের ওভারগুলোতে রান তুলতে পারেনি।
অধিনায়ক রোহিত দুর্দান্ত শুরু এনে দেয়া সত্ত্বেও বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুল রান তোলার গতি বাড়ানো তো দূরে থাক, উল্টো কমিয়ে দিয়েছেন। সেজন্য যদিি অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হয়, পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁরা তাঁদের কাজ করতে পেরেছিল।
বিসিসিআই কর্মকর্তারা দ্রাবিড়কে এমন পিচ বেছে বেছে নেওয়ার কারণও জিজ্ঞাসা করেছিলেন। কেননা পুরো আসর জুড়ে মোহাম্মদ শামি আর জাসপ্রিত বুমরাহর নেতৃত্বে ভারতীয় পেসাররা বেশ ভাল করছিল। উত্তরে ভারতীয় কোচ বলেন, ‘সব ম্যাচেই এই পরিকল্পনা কাজে দিয়েছে কিন্তু ফাইনালে ব্যর্থ হয়েছে।’
স্পিনারদের বেশি সাহায্য করার জন্য ফাইনালের জন্য পিচ কম পানি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পিচ বেশি টার্নিং না হয়ে খুব ধীরগতির হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নিয়ে ভারতকে প্রথমেই ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় কারণ তাঁরা জানত যে ফ্লাডলাইটের নিচে ব্যাটিং করাটা সহজ হয়ে যাবে। বাস্তবেও ঘটেছে তাই, ফলে এত কাছে গিয়েও শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে রোহিত, বিরাটদের।