বরাবরের মতই মিরপুরের পিচ স্পিন স্বর্গ ছিল, তবে বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্টে পিচের ধরন দূরতম কল্পনাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। স্পিনারদের আধিপত্যময় এই ম্যাচের চার ইনিংসে একবারও দুইশ রান করতে পারেনি কোন দল, সর্বোচ্চ ১৮০ রান করেছে কিউইরা।
তবে এজাজ প্যাটেল, তাইজুল ইসলামদের ছাপিয়ে জয়ের নায়ক এক ব্যাটার, তিনি গ্লেন ফিলিপস। ব্যাটিং ধ্বসের মাঝেও এই তরুণ ছিলেন দুর্বার; দুর্দমনীয়। দুই ইনিংসেই তাঁর ব্যাট ছিল সফরকারীদের আস্থার জায়গা; খুব স্বাভাবিকভাবেই বলা যায়, দুই দলের মাঝে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন তিনি।
প্রথম ইনিংসে যখন ৪৬ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল নিউজিল্যান্ড, তখন ক্রিজে এসেছিলেন ফিলিপস। বিপর্যয় সামলে ড্যারেল মিশেলকে নিয়ে গড়েছেন ৪৯ রানের জুটি; এরপর দ্রুত দুই উইকেট হারালেও অবিচল ছিলেন তিনি, কাইল জেমিসনকে সঙ্গী করে বোর্ডে যোগ করেছেন ৫৫ রান; অধিনায়ক টিম সাউদির সাথেও কার্যকরী জুটি করেছিলেন।
আউট হওয়ার আগে এই ডানহাতি সেবার করেছিলেন ৭২ বলে ৮৭ রান। ব্ল্যাকক্যাপসরা যে প্রথম ইনিংসেই পিছিয়ে পড়েনি সেটার কৃতিত্ব এই পারফরম্যান্সের। দ্বিতীয় ইনিংসেও বিধ্বস্ত লাইনআপের হাল ধরেছিলেন তিনি। ৫১ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েও বাংলাদেশ জিততে পারেনি সেটার কারণ তাঁর অপরাজিত ৪০ রান।
বল হাতেও কম যাননি এই তারকা, প্রথম ইনিংসে শিকার করেছেন তিন উইকেট। শাহাদাত হোসেন দীপু, নুরুল হাসান সোহানদের ফিরিয়ে টাইগার মিডল অর্ডার একাই ভেঙে দিয়েছিলেন; সবমিলিয়ে তাই ম্যাচসেরার পুরষ্কারটাও নিজের করে নিয়েছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে অধিনায়কের প্রশংসাও মিলেছে। সাউদি বলেন, ‘পুরো ম্যাচে গ্লেন ফিলিপসের পারফরম্যান্স দুর্দান্ত ছিল। প্রথম ইনিংসে তাঁর ইনিংসটি আমাদের ম্যাচে রেখেছিল এবং বাংলাদেশকে পিছনে ফেলবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বল হাতেও চমৎকার করেছে। স্পিন ক্যারিয়ারে এখনও নতুন সে, তাই এই সিরিজে বোলার হিসেবে তাঁকে দেখাটা আনন্দদায়ক।’
এই পেসার আরো বলেন, ‘যেভাবে ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টে খেলেছে বা পারফর্ম করেছে তাতে বোঝা যায় সে নিজের খেলাটা ভালভাবে জানে। সে খুবই ইতিবাচক, ভিন্ন ফরম্যাট হওয়া সত্ত্বেও নিজের উপর বিশ্বাস ছিল তাঁর।’