ভারতের বোলিং-সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। প্রথম ম্যাচের এই চিত্রের পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল পরের ম্যাচেও। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বৃষ্টি বাঁধা আসলেও ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

ভারতের এমন হারে অনেকেই দায়ী করছেন পেসারদের বোলিং ব্যর্থতাকে। মোহাম্মদ সিরাজ আর আর্শদ্বীপ সিং, ভারতের এই ২ পেসার মিলে ৫ ওভারে হজম করেন ৫৮ রান। আর এখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ভারত। 

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এমন হারের পিছনে পেসারদের দুষছেন সাবেক ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরও। ম্যাচ পরবর্তী বিশ্লেষণে তিনি বলেন, মোহাম্মদ সিরাজ আগামীতে এর চেয়েও বাজে বোলিং করবে। তবে ও ঠিকই শেষ করবে ভালো বোলিং ফিগার নিয়ে। প্রথম ওভারে ১৪ রান হজম করার পর সে পরের ২ ওভারে ১৩ রান দিয়ে দারুণ ভাবে কামব্যাক করেছে। তবে আমি হতাশ, আর্শদ্বীপ সিংকে নিয়ে। প্রথম ওভারেই সে ২৪ রান দিয়েছে। শুরুতে এমন বাজে বোলিং করলে, আর ঘুরে দাঁড়ানোর কিছু থাকে না৷’

তবে সিরাজ, আর্শদ্বীপকে নিয়ে হতাশা প্রকার করলেও মুকেশ কুমারের বোলিংয়ে নিজের মুগ্ধতার কথা জানাতে ভোলেননি সাবেক এ ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ‘দারুণ বল করেছে সে। ১৩তম ওভারে সে যেভাবে ইয়র্কার দিয়েছে, তা এক কথায় দুর্দান্ত। ডেভিড মিলারের বিপক্ষে ওই সময়ে এমন বোলিং আসলেই দুর্দান্ত।’

বিশ্বকাপের আগে ভারতের আরো একজন ডেথ ওভার বোলিং স্পেশালিস্ট খোঁজার প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে গম্ভীর বলেন, ‘বিশ্বকাপের ৬/৭ মাস আগে এমন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ কাজে আসে না আসলে। এখনই সময়, পরীক্ষা নিরীক্ষা করার। ডেথ ওভারে বুমরাহ আছে। কিন্তু এ সময়ে বল করার জন্য আরো একজন স্পেশালিস্ট বোলার প্রয়োজন। বিশ্বকাপের আগে সে বোলারটাই টিম ম্যানেজমেন্টকে খুঁজে নিতে হবে।’

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link