শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানকে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করা সংযুক্ত আরব আমিরাত ফাইনালেও অঘটনের অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু স্বাগতিকদের কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা-ই গড়তে দেয়নি টাইগার যুবারা, আশিকুর রহমান শিবলীর সেঞ্চুরির পর পেসারদের দারুণ বোলিংয়ে প্রথমবারের মত এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতেই হারিয়েছিল ওপেনার জিসান আলমকে। তবে ইনফর্ম শিবলী মোহাম্মাদ রিজওয়ানকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন। তাঁদের ১২৫ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল। ৬০ রান করা রিজওয়ানকে ফিরিয়ে ধ্রুব পরশকার কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিলেন বটে তবে আরিফুল ইসলামের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সেই স্বস্তি উড়ে যায়।
সেমিফাইনালের নায়ক আরিফ এদিন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি করে আউট হন। অন্যপ্রান্তে তখনও অবিচল ছিলেন ডানহাতি ওপেনার, একের পর এক বাউন্ডারিতে ততক্ষণে শতক পূর্ণ করে ফেলেছিলেন তিনি, চলতি টুর্নামেন্টে এটি ছিল তাঁর দ্বিতীয় শতক।
দলীয় ২২৫ রানে আরিফুলের বিদায় পর টাইগাররা আর বড় কোন জুটি গড়তে পারেনি। তাতে অবশ্য রান তোলার গতি থামেনি। শেষপর্যন্ত শিবলীর ১২৯ রানের ইনিংস আর অধিনায়ক রাব্বির ক্যামিওর কল্যাণে নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে ২৮২ রানের পুঁজি পায় টিম টাইগার্স।
পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করে জিততে হলে অবিশ্বাস্য কিছু করতে হতো সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। কিন্তু বাংলাদেশের বোলাররা নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগই দেয়নি দলটির ব্যাটারদের। পাওয়ার প্লের মাঝেই তাঁদের চারজনকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়ে দেন মারুফ মৃধা আর রোহানাত দৌল্লা বর্ষণ।
প্রতিপক্ষের অধিনায়ক আয়ান আফজাল খান চেষ্টা করেও প্রতিরোধ গড়তে পারেননি, তাঁকেও শিকার করেছেন দুর্ধর্ষ সব সুইং আদায় করা বর্ষণ। ৪৫ রানে পাঁচ উইকেট হারানো দলটাকে আরো বিপদে ফেলেছেন ইকবাল হোসেন ইমন, ডানহাতি এই পেসার পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে দেন অনেকটাই।
টাইগার বোলারদের দাপটের দিন ধ্রুব আর অক্সাত রায় ছাড়া আর কোন ব্যাটারই পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে যেতে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষপর্যন্ত ৮৭ রানেই গুটিয়ে যায় আফজালরা, ফলে ১৯৫ রানের বিশাল জয়ের পাশাপাশি বিজয়ের মাসে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের অর্জনের স্বাদ পায় লাল-সবুজ বাহিনী।