ঘরের মাঠে বাংলাদেশ কখনোই নিউজিল্যান্ডকে সাদা পোশাকে হারাতে পারেনি। অধিনায়কত্ব করতে নেমেই নাজমুল হোসেন শান্ত সেই অপূর্ণ সাধ পূর্ণ করেছেন। আবার কিউইদের ডেরায় প্রথম ওয়ানডে জয়ও এসেছে অধিনায়ক হিসেবে তাঁর প্রথম সিরিজেই। এবার আর একটা বক্সে টিকচিহ্ন দেয়া বাকি, নিউজিল্যান্ডকে তাঁদের দর্শকদের সামনেই টি-টোয়েন্টিতে হারানো।
দিন দুয়েক পরেই, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে মুখোমুখি হবে দুই দল। এই ফরম্যাটেও টাইগারদের নেতৃত্বে এখন শান্ত, তাইতো আশার পালে হাওয়া লেগেছে খানিকটা। কিন্তু দলের সবাই পারফরম না করতে পারলে ক্যাপ্টেন একার পক্ষে জেতা সম্ভব হবে না বললেই চলে। তাহলে টি-টোয়েন্টি একাদশে কারা থাকবেন, ইতিহাস গড়ার দায়িত্ব কাঁধে উঠবে কাদের।
ওপেনিংয়ে লিটন দাস-রনি তালুকদার নিয়মিত জুটি, তবে সৌম্য সরকার ফর্মে ফেরায় তিনিই থাকবেন লিটনের সঙ্গে। তিন নম্বরে বরাবরের মতই দেখা যাবে নাজমুল শান্তকে; বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের সবচেয়ে বড় ভরসা এখন তাঁর উপর, দায়িত্ব তাই নিতেই হবে তাঁকে।
চার নম্বরে আফিফ হোসেনকে খেলাতে পারে টিম ম্যানেজম্যান্ট, আবার আফিফের জায়গায় রনি তালুকদারকে খেলালেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। সেক্ষেত্রে অবশ্য ব্যাটিং পজিশনে একাধিক অদলবদল দেখা যাবে, যদিও বোলিং বিবেচনায় আফিফই এগিয়ে থাকবেন। আর পাঁচ নম্বরে তাওহীদ হৃদয় এখন প্রায় অটো চয়েজ।
ফিনিশারের ভূমিকায় দেখা যাবে শামীম হোসেনকে। তাঁর সাথে থাকবেন মেহেদি হাসান মিরাজ বা শেখ মেহেদীর যেকোনো একজন। বোলিং বিবেচনা করলে অবশ্য মেহেদী সুযোগ পাবেন, আর নাহলে মিরাজ জায়গা পাবেন একাদশে। আট নম্বরে রিশাদ হোসেনকে চাইলে বাজিয়ে দেখা যায়, আবার তানভীর হোসেনকেও ব্যবহার করতে পারে বাংলাদেশ দল।
ব্যাটিং অর্ডারে অনেক ভাবনার সুযোগ থাকলেও বোলিং আক্রমণ প্রায় নিশ্চিত। শরিফুল ইসলাম থাকছেন, ফর্ম বিবেচনায় তানজিম হাসান সাকিব পেয়ে যেতে পারেন টি-টোয়েন্টি ক্যাপ। আর তৃতীয় পেসার হিসেবে হাসান মাহমুদ বা মুস্তাফিজুর রহমানের মধ্যে একজন খেলবেন।