আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুরিয়াকুমার যাদব রহস্য হয়েই আছেন। টি-টোয়েন্টিতে তাঁর পরিসংখ্যান দিন দিন উন্নত হচ্ছে, অথচ ওয়ানডেতে ক্রমাগত ব্যর্থ হচ্ছেন তিনি। বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অর্ধ-শতক হাঁকিয়ে এই ফরম্যাটে ভাল করার ইঙ্গিত দিলেও বিশ্বকাপ ফাইনালে আবারো ফ্লপ করেছিলেন। ফলে তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারে আপাতত ফুল স্টপ পড়েছে।
টি-টোয়েন্টিতে কিন্তু নিজের ছন্দ ঠিকই ধরে রেখেছিলেন সুরিয়াকুমার। অজিদের বিপক্ষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার সাথেও একটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফ-সঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন।
২০২২ সালের অক্টোবরে টি-টোয়েন্টিতে এক নম্বর ব্যাটার হয়েছিলেন এই ডানহাতি। তখন থেকেই এই অবস্থান ধরে রেখেছেন; এটাই প্রমাণ করে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে কতটা ধারাবাহিক তিনি। আর সেজন্যই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘প্লেয়ার টু ওয়াচ’ হিসেবে তাঁকে বেছে নিয়েছেন কিংবদন্তি ব্যাটার নাসের হুসেইন।
তবে পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচে তাঁর ছন্নছাড়া রূপ দেখে বিস্মিতও হয়েছেন এই ইংলিশ। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এই মুহুর্তে যে ব্যক্তি শাসন করছে সে হলো সুরিয়াকুমার যাদব। আমি বলতে চাচ্ছি, সে পাগল – কি অনায়াসে শট খেলতে জানে এই ফরম্যাটে। কিন্তু দেখুন ওয়ানডেতে কি করতে হবে সেটা সে বোঝেই না। তবে টি-টোয়েন্টিতে তাঁকে খেলতে দেখাটা সত্যিই অসাধারণ।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এখনও ছয় মাস বাকি; যদিও আত্মবিশ্বাসের সাথেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। সম্ভাব্য দুই ফাইনালিস্ট হিসেবে অবশ্য ভারত বা বর্তমান ওয়ানডে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে বেছে নেননি তিনি। বরং তাঁর মতে, তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে আছে দৌড়ে।
এই তারকা বলেন, ‘আমি আসলে এটা নিয়ে খুব বেশি ভাবিনি। তবে আমি দক্ষিণ আফ্রিকাকে পছন্দ করছি, ওয়ানডে বিশ্বকাপে তাঁরা দুর্দান্ত খেলেছিল। আবার টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড সাম্প্রতিক সময়ে ভাল না করলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করি।’