এবাদত হোসেন, ডেডলাইন বিশ্বকাপ

বাস্তবতা বলছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন না তিনি। কিন্তু, এবাদত হোসেন মানছেন মনের কথা। তিনি যে করেই হোক এর আগে নিজেকে ফিট করে মাঠে ফিরতে মরিয়া।

গেল জুলাইয়ে লন্ডনে হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকার কারণে মাঠের বাইরে আছেন এবাদত। এ কারনে বাংলাদেশের বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচের পাশাপাশি আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপও মিস করেছেন তিনি।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের এবাদত বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে ফিরতে পারবো বলে আশা করছি এবং এ ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী।’

সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মেডিকেল বিভাগ ইঙ্গিত দিয়েছিল, জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না এবাদত। তবে, এবাদতের ভাবনাটা ভিন্ন রকম।

আত্মবিশ্বাসের সাথে এবাদত বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব ক্রিকেটে ফেরার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে মেডিকেল বিভাগ সর্ব প্রকার সাপোর্ট করছে, পুনর্বাসন বেশ ভাল হচ্ছে। আমি মনে করি, দ্রুতই শক্তি ফিরে পাচ্ছি। আমি বালির মাঠে দৌড়াচ্ছি এবং শক্তি বাড়াতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। আমি আশা করি, ভালো কিছু পাবো।’

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রস্তুতি নিয়ে যখন সতীর্থরা ব্যস্ত, তখন ইনজুরি থেকে সুস্থ হতে লড়াই করতে হচ্ছে এবাদতকে। যা একজন খেলোয়াড়ের জন্য খুবই হতাশাজনক।

কিন্তু তাড়াহুড়া করে মাঠে ফিরতে রাজি নন এবাদত। পুরোপুরি ফিট হয়েই ক্রিকেটে ফিরতে চান নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের নায়ক এবাদত। তিনি বলেন, ‘আমি তাড়াহুড়া করছি না। আমি যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি, সেটি আমার জন্য ভাল কাজ করছে। গতকাল আমার দুই পায়ের এবং পেশির মাপ নেওয়া হয়েছে এবং সব ঠিক আছে। খুব ভালো রিকভার করছে। মনে হচ্ছে, কঠোর পরিশ্রমের ফল খুব ভালোভাবেই পাচ্ছি।’

২০২৩ সালের বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, মাঝের ওভারের দক্ষতার জন্য দল সবচেয়ে বেশি মিস করবে এবাদতকে। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ইভেন্টে সেটি প্রমাণও হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের কোন বোলার মাঝের ওভারে প্রভাব ফেলতে পারেনি। এ কারনে সর্বশেষ আসরে সবচেয়ে বেশি হারের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপ চলাকালীন মাঠের বাইরে থাকতে ভালো লাগেনি এবাদতের। এজন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ফিরতে চান তিনি। ইতোমধ্যে ছোট রান-আপে বোলিংও শুরু করেছেন তিনি।

এবাদত বলেন, ‘অন্যরা বোলিং করছে, ম্যাচ খেলছে এবং এটা দেখা একজন খেলোয়াড়ের জন্য সব সময় কঠিন। যখন আমি আমার সতীর্থদের খেলতে দেখেছি, তখন আমার খেলতে ইচ্ছা করেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেকে ফিট করতে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link