মাশরাফি বিন মর্তুজা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে শেষ মাঠে নেমেছেন কবে সেটা বোধহয় ক্রিকেটের নিয়মিত খোঁজ খবর রাখা মানুষদেরও ঠিকঠাক মনে নেই। ইনজুরি, ফিটনেস ইস্যুতে লম্বা সময় খেলার বাইরে থাকা মাশরাফি তাই বিপিএলে খেলতেই চাননি। কিন্তু, সিলেট স্ট্রাইকার্স ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক পক্ষের অনুরোধে নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবেই মাঠে আছেন তিনি।
আর এই ব্যাপারটি পছন্দ হয়নি বাংলাদেশের আরেক সুপারস্টার মোহাম্মদ আশরাফুলের। তাঁর মতে, এভাবে কাউকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে খেলানো টুর্নামেন্টকে ছোট করছে।
তিনি বলেন, ‘এভাবে এই টুর্নামেন্টে আসলে মাশরাফি খেলতে চাচ্ছিলো না, কিন্তু মালিকপক্ষ চাচ্ছে সে মাঠে দাঁড়িয়ে থাকুক। এটা আমার মনে হয় টুর্নামেন্টকে ছোট করা হচ্ছে। কারণ এই ধরনের টুর্নামেন্ট পুরো বিশ্বজুড়ে দেখছে। এখানেই আমাদের আগামীর খেলোয়াড়রা আসবে।’
সত্যি বলতে, নির্বাচনের সময় থেকেই মাশরাফির পায়ের ব্যাথা বেড়েছিল। বিপিএলের সময়টাতে তিনি চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়া যাবেন এমন কথাও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু রহস্যজনক কোন কারণে এই ডানহাতি খেলছেন সিলেটের জার্সিতে।
ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিকের সামর্থ্য নিয়ে সংশয় নেই; তাঁরা ক্রিকেটীয় মেধা আর অভিজ্ঞতাই যথেষ্ট ব্যাটারদের বোকা বানাতে। আবার নিজের দিনে ব্যাট হাতেও তিনি ছোটখাটো অবদান রাখতে পারবেন। কিন্তু এমন করে খেলার যৌক্তিকতা কতটুকু সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।
বলতে গেলে নড়াইল এক্সপ্রেসকে জায়গা করে দিতেই সাইড বেঞ্চে বসে থাকতে হচ্ছে তরুণ শফিকুল ইসলাম, রেজাউর রাজাকে। এই পেসাররা হয়তো আশা করেছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসরে পারফর্ম করবেন, লাইমলাইটে আসবেন। তবে আপাতত সেটা আর হচ্ছে না।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, দেশের ইতিহাসের সেরা অধিনায়ককে মেন্টর হিসেবে ব্যবহার করতে পারতো সিলেটের টিম ম্যানেজম্যান্ট। তাতে তাঁর অভিজ্ঞতাও কাজে লাগাতে পারতো আবার অন্য কাউকে সুযোগ দেয়া যেত। কিন্তু ব্র্যান্ড ভ্যালু কিংবা আবেগের মায়ায় তাঁরা মাশরাফিকে মাঠে দেখতেই আগ্রহী।