বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সর্বশেষ আসরেও ছিলেন শীর্ষ পাঁচ ব্যাটারদের একজন। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের আসরে তাঁর উপরেই নেতৃত্বের ভার তুলে দিয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। কিন্তু, সেই নেতৃত্বের চাপের ভারেই যেন নুয়ে পড়ছেন লিটন দাস। এখন পর্যন্ত বিপিএলে হাসেনি তাঁর ব্যাট। ইনিংস শুরুর গুরুদায়িত্ব নিয়েও বারবার সাজঘরে ফিরছেন ব্যর্থতার গ্লানি মেখে।
আগের তিন ম্যাচের ব্যাটিংয়ে ছিল না কোনো আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন। নড়বড়ে ব্যাটিংয়ে নামের পাশে মোটে যোগ করেছিলেন ৩৫ রান। আসরের শুরুর এ ব্যর্থতা মুছে ফেলার একটা চ্যালেঞ্জ নিয়েই এ দিন রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন লিটন দাস।
তবে এবারও সেই পুরোনো প্রতিচ্ছবি। চাপ কমানোর লক্ষ্যে শুরুতেই উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সার্কেলটাই পার করতে পারেননি। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের শিকার হয়ে এ দিন লিটন ফিরলেন শূন্য রানে।
২০২২ সালে দুর্দান্ত সময় কাটানো এ ওপেনারের ২০২৩ সালটা মোটেই ভাল যায়নি। তবে টি-টোয়েন্টিতে নিজের ফর্মটা ঠিকই ধরে রেখেছিলেন। নিজের সেরা ছন্দে না থেকেও গেল বছরে এই ফরম্যটে ৪০.৫০ গড়ে ব্যাটিং করেছিলেন লিটন। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটের ছন্দচ্যুতির স্রোতটা যেন এবার এই ২০ ওভারের ক্রিকেটে এসেও ঠেকেছে।
ওপেনিংয়ে নেমে দলকে তো উড়ন্ত সূচনা এনে দিতে পারছেনই না, উল্টো দলের বিপদ বাড়াচ্ছেন। আশঙ্কা বাড়াচ্ছে, তাঁর আউট হওয়ার ধরন। প্রায় প্রতি ম্যাচেই সফট ডিসমিশাল হচ্ছেন তিনি। সেখান থেকে সহসাই কবে উতরে উঠবেন সেটাই এখন ভাবনার বিষয়।
সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগের সব আসরের ব্যর্থতা ভুলে আসন্ন বিশ্বকাপ দিয়েই ঘুরে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ। আর সেই যাত্রায় লিটনকেই ভাবা হচ্ছে দলের অন্যতম প্রাণভোমরা। কিন্তু বিশ্বকাপের বছরে এ ব্যাটার ব্যাটিং ফর্ম টাই যেন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। লিটন নিশ্চয়ই এখান থেকে পরিত্রাণ পেতে চাইবেন। হয়তো খুব নিকট সময়ের মাঝেই ফিরে আসবেন আপন ছন্দে।