সিলেটকে উড়িয়ে দিয়ে হ্যাটট্রিক জয় রংপুরের

টানা তৃতীয় ম্যাচ জিতে নিলো রংপুর রাইডার্স, সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক জয় পেলো দলটি। নুরুল হাসান সোহানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের নৈপুণ্যে সিলেটকে উড়িয়ে দিয়েছে তাঁরা।

আগে ব্যাট করতে নামা রংপুর অন্য অনেক ম্যাচের মতই ব্রেন্ডন কিংয়ের উইকেট হারায় প্রথমেই। তবে ইনফর্ম বাবর আজম সেই চাপ বাড়তে দেননি, ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে সঙ্গে নিয়ে ৫১ রান তোলেন তিনি। দুজনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে যখন বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছিল দলটি; তখনি জোড়া আঘাত হানেন হ্যারি টেক্টর, ১৪ রান করে রাব্বি আর শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাকিব আল হাসান।

এরপরই চাপে পড়ে যায় টিম রাইডার্স, সেই চাপ থেকে বেরুতে গিয়ে উল্টো উইকেট দিয়ে বসেন বাবর। ৩৭ বলে ৪৭ রান করে থামেন তিনি, তবে অধিনায়ক সোহান বেছে নেন কাউন্টার এটাকের পথ। তাতেই মেলে সফলতা, আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও মোহাম্মদ নবীকে সঙ্গী করে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি বোর্ডে জমা করেন তিনি।

শেষদিকে আউট হওয়ার আগে ৩০ বলে ৪৬ রান করেন এই উইকেটকিপার। এর পাশাপাশি বাকিদের ছোট ছোট অবদানে সিলেকে ১৬৩ রানের টার্গেট দিতে সক্ষম হয় তাঁর দল।

রান তাড়া করতে নেমে স্বাগতিক ব্যাটারদের কেউই পারেননি চোখে চোখে রেখে লড়াই করতে। নাজমুল হোসেন শান্ত, টেক্টর দুজনে ফিরে যান দুই ওভারের মধ্যে। ধারাবাহিক রান করা জাকির হাসান কিংবা আগের ম্যাচের হাফসেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ মিথুনও টিকতে পারেননি এদিন। ফলে পাওয়ার প্লের মধ্যেই চার উইকেট হারিয়ে বসে দলটি।

সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তাঁরা। বরং সামিত প্যাটেল আর শামসুর রহমানের উইকেট হারিয়ে চরম লজ্জার কিনারায় পৌঁছে যায়। সেই লজ্জায় অবশ্য পড়তে হয়নি রায়ান বার্লের একক বীরত্বের কল্যাণে। তিন চার আর তিন ছয়ে ৩২ বলে ৪৩ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে, তাতেই এই আসরের সর্বনিন্ম রানের অপ্রত্যাশিত রেকর্ড থেকে রক্ষা পায় দলটি।

যদিও বিশাল ব্যবধানে ঠিকই হারতে হয়েছে তাঁদের, ৮৫ রানে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ৭৭ রানে পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে মিথুনের দল। এই হারে টেবিলের তলানি থেকে উপরে উঠার সম্ভাবনা আরো কমে গেলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link