জিততেই ভুলে গিয়েছে দুর্দান্ত ঢাকা, প্রথম ম্যাচ জয়ের পর টানা পাঁচ ম্যাচ হারলো তাঁরা। অন্যদিকে, জয়ের ধারা চলমান আছে রংপুর রাইডার্সের, ঢাকাকে ৬০ রানে হারিয়ে মৌসুমের পঞ্চম জয় তুলে নিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল। আর এর মধ্য দিয়ে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের শীর্ষস্থান আরো সুসংহত হলো তাঁদের।
আগে ব্যাট করতে নামা রংপুরকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন রনি তালুকদার আর বাবর আজম। প্রথম বলেই চার মেরে আগ্রাসনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রনি, অষ্টম ওভারে আউট হওয়ার আগে তিনি ২৪ বলে করেন ৩৯ রান; দলীয় রান তখন ৬৭। অনেক দিন পর তিন নম্বরে নেমে সাকিব আল হাসান যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছেন, তাঁর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে জেগে ওঠে মিরপুর।
অবশ্য মোসাদ্দেকের এক ওভারে থামতে সাকিব আর বাবরকে, তাঁদের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৩৪ এবং ৪৭ রান। এরপর রান তোলা কিছুটা কমে আসে, তবে অধিনায়ক সোহান হাল ছাড়েননি। টপ অর্ডারের গড়ে দেয়া ভিতের যথাযথ ব্যবহার করেছেন তিনি। সেই সাথে মোহাম্মদ নবীও দেখিয়েছেন পাওয়ার হিটিংয়ের সামর্থ্য।
শেষ পর্যন্ত সোহানের ১৬ আর নবীর ২৯ রানের ক্যামিওতে ভর করে ১৭৫ রান তোলে টিম রাইডার্স। হারতে থাকা ঢাকার জন্য এই লক্ষ্যই ছিল পাহাড়সম।
সেটা প্রমাণ করতেই যেন তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে দলটির টপ অর্ডার। প্রথম চার ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে মাত্র চার রান তুলতে সক্ষম হয় তাঁরা। ওপেনার সাব্বির হোসেন আর তিন নম্বরে নামা সাইম আইয়ুব আটকা পড়েন শেখ মেহেদীর জালে। যদিও পাওয়ার প্লের শেষ দুই ওভারে ঝড় তোলেন নাইম শেখ।
সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝেও একপ্রান্ত আগলে রান করে যান তিনি, কিন্তু তাঁর প্রতিরোধ স্থায়ী হয়নি। ব্যক্তিগত ৪৪ রানের মাথায় সালমান ইরশাদ তুলে নেন এই বাঁ-হাতির উইকেট। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি মোসাদ্দেকের দল। মিডল অর্ডারের চরম ব্যর্থতার দিনে ৭৮ রানেই সাত উইকেটের পতন ঘটে তাঁদের।
শেষদিকে ইরফান শুক্কুরের ১৪ বলে ২১ রানের ইনিংস কেবলই পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে। তা নাহলে হয়তো আরো বড় হারের লজ্জা পেতে হত তাসকিন, শরিফুলদের।