বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরেছিল ভারত, সেই ক্ষত শুকানোর আগেই ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালেও অস্ট্রেলিয়া শিরোপা ছিনিয়ে নেয় রোহিত শর্মাদের কাছ থেকে। সেই ধারা ধরা রেখেছে অজি যুবারাও, যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতীয় যুবাদের হারিয়েছে ৭৯ রানে।
আগে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল, কোন রান না করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন ওপেনার স্যাম কনস্টাস। তবে আরেক ওপেনার হ্যারি ডিক্সন জুটি গড়েন অধিনায়কের সঙ্গে, এই দুজনের ৭৮ রানের জুটিতে প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে উঠে দলটি। কিন্তু স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দুই উইকেট শিকার করে আবারো প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দেয় টিম ইন্ডিয়া।
যদিও অজি মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ছোট ছোট অবদানের কল্যাণে বড় কোন বিপদের মুখে পড়তে হয়নি তাঁদের। হার্জাস সিং করেছেন ৫৫ রান, রায়ান হিকসের ব্যাট থেকে এসেছিল ২০ রান। শেষদিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ক্যাঙ্গাগুরুরা, কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন অলিভার পিক।
লোয়ার অর্ডারেের সঙ্গে মিলে গুরুত্বপূর্ণ রান বোর্ডে যোগ করেছেন তিনি। নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভার শেষে তাঁর ৪৫ রানে ভর করে ২৫৩ রান করতে সক্ষম হয় অস্ট্রেলিয়া।
মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতও মনের মতো সূচনা পায়নি। আর্শিন কুলকার্নি আউট হয়েছেন মাত্র দুই রান করে, প্রতিরোধের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন মুশির খান; ২২ রান করে থেমেছেন তিনি। ইনফর্ম উদয় সাহারণের ওপর ভরসা ছিল একটু বেশি, কিন্তু তিনিও এদিন পারেননি বলার মত কিছু করতে।
সবমিলিয়ে ৫৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে ওড়ে টিম ইন্ডিয়া। সেমিফাইনালে এমন অবস্থা থেকেই অবিশ্বাস্য একটা জয় পেয়েছিল তাঁরা, কিন্তু ফাইনালে সেটার পুনরাবৃত্তি হলো না। একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে দলটিকে কোণঠাসা করে ফেলেন প্যাট কামিন্সের উত্তরসূরীরা। একটা সময় ১২২ রানে আট উইকেট হারিয়ে ফেললে ভারতের জয়ের আশা পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়।
তবু নবম উইকেটে মুরুগান অভিষেক আর নামান তিওয়ারি আশা দেখিয়েছিলেন খানিকটা। কিন্তু এই দু’জনের ৪৬ রানের জুটি কেবলই আক্ষেপ বাড়িয়েছে সমর্থকদের। শেষপর্যন্ত ১৭৪ রানেই গুটিয়ে যায় উদয়ের দল, সেই সাথে যুব বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরে হিউজ ওয়েবজেনরা।