অবসরের অজি কালচার

পৃথিবীর অনেক পেশাদার ক্রিকেট দেশে আসলে অবসর শব্দটা এত সহজ না। ২০০৬ সালের দিকে স্টিভ ওয়াহ রীতিমতো অনুরোধ করছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ সেই ক্রিকেটারদের, যাতে তারা বিদায় জানাতে দ্বিধা না করে।

পৃথিবীর অনেক পেশাদার ক্রিকেট দেশে আসলে অবসর শব্দটা এত সহজ না। ২০০৬ সালের দিকে স্টিভ ওয়াহ রীতিমতো অনুরোধ করছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ সেই ক্রিকেটারদের, যাতে তারা বিদায় জানাতে দ্বিধা না করে।

২০০৩ সালে স্টিভ ওয়াহ, দ্য মাইটি স্টিফেন, বলেছিলেন অ্যাশেজে করা সেঞ্চুরি ‘আমার ক্যারিয়ার বাঁচিয়ে দিয়েছে’। মানে পকেটের দশ হাজার টেস্ট রান, আর জিতে যাওয়া একটা বিশ্বকাপ তাকে জাস্টিফাই করার জন্য যথেষ্ট ছিল না।

স্টিভ ওই ২০০৩ সালেই বিদায় নেন, ক্রিকেট ইতিহাসের সেরাদের একজন হিসেবে, ২০০৪ অথবা ০৫ এর দিকে স্টিভ ওয়াহ পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার।

অস্ট্রেলিয়া দেশ হিসেবে স্পোর্টসে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়, সেটা সব পর্যায়ে, স্পোর্টস সায়েন্সে অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দারুণ সব ডিগ্রি আছে।

আর কী অসাধারণ একটা ব্যাপার অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, ফুটবলে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে লড়াই করে, এবারও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ভালো খেলেছে দ্বিতীয় রাউন্ডে, অ্যাথলেটিকসে তাদের ভালো পদক আছে, বিশ্বের সর্বকালের সেরা সাঁতারুদের একজন থর্প অজি।

এসবের পেছনে আছে তাদের কালচার স্বীকার করে নেয়ার মনন। অ্যারন ফিঞ্চ কিন্তু তামিম ইকবালের চেয়ে খুব ভালো ব্যাটার না, আবার কমও না, কাছাকাছি মানের।

ফিঞ্চ খুব সহজভাবে দেখেছেন ক্রিকেটকে, সময়মতো সব ছেড়ে দিয়েছেন, তার বয়স ছিল ৩৬ এর মতো, বাংলাদেশের যা বাস্তব ৩৪-৩৫।

রিকি পন্টিং যার শচীনের পর সর্বোচ্চ টেস্ট রান, তিনি টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ার সময় বলেছিলেন, ‘At the end of the day (the decision) was based on my results. In this series so far they have not been up to the level required of batsmen and players in the Australian team.’

সততা, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান একজন পেশাদারের। ২০১৫ সালে মাইকেল ক্লার্ক ছিলেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক, ভাই এই লোক অ্যাশেজে ইনিংস ব্যবধানে হেরে শেন ওয়ার্নকে বলেন, ‘আমার সময় হয়ে গেছে ব্রো।’

৩৪ বছর বয়স ছিল। এটা হচ্ছে কালচারের বিষয়। বিদায় বেলায় ক্লার্ক বলেছিলেন, ‘As captain of the team my performances have been nowhere near the level and the standard they need to be an Australian cricketer and to be captain,’

সম্মান করি এই মানুষদের সত্যি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...