ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ২ ম্যাচেও দলে ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার। তবে বাদ পড়েছেন পরের তিন টেস্টের দল থেকে। শোনা যাচ্ছে, ব্যাক ইনজুরির কারণেই লাল বলের ক্রিকেট থেকে তাঁকে তখন বাদ দেওয়া হয়েছিল। তবে এই ইনজুরি নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। বিসিসিআই চিকিৎসকরা জানিয়েছে, আইয়ার এখন খেলার মতো ফিট অবস্থায় আছে।
এর অর্থ অফফর্মের কারণেই মূলত এ ব্যাটারকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েও রঞ্জি ট্রফিতে দেখা যাচ্ছে না আইয়ারকে। কদিন আগেই আবার বিসিসিআই জানিয়েছিল, চুক্তিভূক্ত ক্রিকেটারদের দলে জায়গা পেতে হলে অবশ্যই ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে আসতে হবে। কিন্তু শ্রেয়াস আইয়ার দল থেকে বাদ পড়ার পরেই ক্রিকেট থেকে এক রকম বিরতিতে আছেন। গুঞ্জন আছে, ফিট অবস্থায় আইপিএল খেলার জন্য এ ক্রিকেটার রঞ্জি খেলছেন না।
সর্বশেষ আইপিএল মিস করেছিলেন ইনজুরিতে পড়েই। মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া এবারের আইপিএল আসর কোনোভাবেই মিস দিতে নারাজ এ ব্যাটার। আর সেই ইনজুরি শঙ্কা থেকেই তিনি রঞ্জিতে খেলছেন না। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, ভারতের টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে কি আদৌ সেগুলো ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
বিসিসিআই জানিয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটই সব কিছু মানদণ্ড। কিন্তু সর্বশেষ রঞ্জি ট্রফির সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটার মায়াঙ্ক আগারওয়াল সেভাবে সুযোগ পাচ্ছেন না। অনেক আলোচনা, সমালোচনার পর যদিও সরফরাজ খান জাতীয় দলের গণ্ডি পেরিয়েছেন। কিন্তু বিসিসিআইয়ের বেঁধে দেওয়া শর্তের পরও, আইয়ার, কিষাণরা ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতি অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন যথারীতি।
অথচ কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদেরও আইপিএলের চেয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু আইপিএলটাই যেন মূখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য। আর এ কারণেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট তথা রঞ্জি ট্রফিতে খেলছেন না আইয়ার। এখন দেখার পালা, আইয়ারের জন্য টেস্ট দলে ফেরার মানদণ্ডটা ঠিক কী হয়।