তামিমের ব্যাটে সেরা চার নিশ্চিত বরিশালের

জিতলেই পরবর্তী রাউন্ড, হারলে তাকিয়ে থাকতে হবে ভাগ্যের দিকে – এমন সমীকরণকে সামনে রেখে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হয়েছিল ফরচুন বরিশাল। তবে এখন আর ভাগ্যের আশায় থাকতে হচ্ছে না তাঁদের, বোলারদের দাপুটে পারফরম্যান্স আর তামিম ইকবালের হাফসেঞ্চুরিতে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে তাঁরা। এর মধ্য দিয়ে সেরা চারে জায়গা নিশ্চিত হলো দলটির।

টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম, সেই সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করেছেন দলটির বোলাররা। দুই ওপেনার সুনীল নারাইন আর লিটন সেট হয়েও বড় রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন, চার নম্বরে নামা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন আউট হন এক রান করেই। ফলে ৪০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে কুমিল্লা।

প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান মঈন আলী এবং তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু ব্যক্তিগত ২৫ রানে হৃদয় প্যাভিলিয়নে ফিরলে আবারো ধ্বস নামে ব্যাটিং লাইনআপে। মঈন, রাসেলরা বিধ্বংসী হয়ে উঠার আগেই আউট হন। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন জাকের আলী, একপ্রান্ত আগলে রাখেন তিনি।

লোয়ার অর্ডারকে সঙ্গে নিয়ে বাইশ গজে ঝড় তোলেন এই ব্যাটার, শেষপর্যন্ত অপরাজিত থেকে ১৬ বলে ৩৮ রান করেন। তাতেই ১৪০ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

রান তাড়ায় শুরুতেই আহমেদ শেহজাদের উইকেট হারায় বরিশাল, এনামুল হককে তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়ে উইকেট দিয়ে বসেন তিনি। যদিও বিপদ বাড়তে দেননি তামিম, কাইল মায়ার্সকে সঙ্গে গিয়ে ৬৪ রানের জুটি গড়েন তিনি। এই জুটির কল্যাণে জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি। ২৫ রানে মায়ার্স আউট হলেও অবিচল ছিলেন এই বাঁ-হাতি, চল্লিশ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। তাঁর এমন ব্যাটিংয়ে লক্ষ্য তাড়া করা সহজ হয়ে গিয়েছিল অনেকটাই।

মুশফিক হাসান অবশ্য একাই লড়াই করেন কুমিল্লার হয়ে, তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষদিকে জমে উঠেছিল ম্যাচ। এরই মাঝে বরিশালের দলপতি থামেন ৬৬ রানে, ফলে কুমিল্লার জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ।

কিন্তু স্নায়ু ধরে রাখতে পারেননি তরুণ এই পেসার। শেষ ওভারে আট রান দরকার ছিল, প্রথম বলেই ছয় হজম করে বসেন তিনি। এরপরও চেষ্টা করেছিলেন, তবে মাহমুদউল্লাহর কল্যাণে দুই বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত হয় তামিম বাহিনীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link