ভারতের কাছে স্রেফ উড়ে গিয়েছে ইংল্যান্ড; পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে জিতেছে স্বাগতিকরা। বিরাট কোহলি, মোহাম্মদ শামির মত অভিজ্ঞ তারকারা ছিলেন না। তবু যেভাবে দাপটের সঙ্গে খেলেছে দলটি সেটা মুগ্ধ করেছে নিন্দুকদের। সরফরাজ খান, ধ্রুব জুরেলের মত তরুণ ক্রিকেটাররা সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেছেন; টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং লাইন আপের শক্তি কমতে দেননি তাঁরা।
এই ব্যাপারটি সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের নজর এড়াতে পারেনি, প্রতিভাবান তরুণদের নিয়ে সন্তুষ্ট তিনি। যদিও তাঁর মতে, কোন মন্তব্য করার আগে আরেকটু অপেক্ষা করা উচিত; তারপরে বোঝা যাবে বিরাট-রোহিতদের জায়গা নেয়া সম্ভব হবে কি না।
এই ক্রিকেট বিশ্লেষক বলেন, ‘আমার জন্য টেস্ট সিরিজের বড় পাওয়া এই ব্যাটাররা। লাল বলের খেলায় বড় রান করতে পারার সামর্থ্য তাঁরা দেখিয়েছে, এই সংস্করণে খেলতেও খুব আগ্রহী – যা দুর্দান্ত ব্যাপার। তবে একটু অপেক্ষা করা যাক। ছেলেদের অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং অন্যান্য জায়গায় খেলতে দিন। তারপরে আমরা দেখতে পারব যে দীর্ঘমেয়াদে কোন ব্যাটারের উপর ভারত নির্ভর করবে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পূজারার হাত থেকে ব্যাটন কে নেবে।’
অবশ্য ইংলিশদের বিপক্ষে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন ভারতীয় বোলাররা। রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর কুলদীপ যাদবের স্পিন ত্রয়ীর বিপরীতে কোন জবাব জানা ছিল না বেন স্টোকসদের। আবার জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরাও দারুণ পারফর্ম করেছেন।
এই ব্যাপারে মাঞ্জরেকার বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করলে ভারতের বোলিং বিভাগ এখন স্বস্তির জায়গা। আকাশ দীপ, কুলদীপ যাদবের আগমন বোলিং আক্রমণকে আরো শক্তিশালী করেছে। ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের দেখুন, তাঁরা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে এই বোলারদের বিপরীতে।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘যখন আপনার কাছে বুমরাহ, সিরাজ, জাদেজা, আকাশ আর কুলদীপ যাদবের মত অস্ত্র থাকবে তখন আসলে অন্য কোন দলের বাঁচার কোন রাস্তা থাকবে না।’